[ads1]বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এইবার তোমার আমি বধিব পরাণ!..বিষয়টা তেমনিই। জুমার নামাজে তো হয়-ই, এখন আবার তারাবির নামাজেও চলছে উৎপাত। প্রতি ওয়াক্তেই চুরি হয় শতাধিক জোড়া। কিন্তু ঘুঘুকে আর ধরা যায় না! তবে কথায় বলে না, চোরের সাতদিন, আর গৃহস্থের একদিন। অবশেষে সেই একটি দিনই এসে যায়। এক ব্যাগ জুতাসহ মুসল্লিদের হাতে ধরা খেয়ে গেলেন ‘মহামান্য’ জুতাচোর।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় হবিগঞ্জ শহরের কোর্টমসজিদে জুতা চুরির সময় হাতে নাতে ধরা খেয়ে যান আব্দুল খালেক (৩৫) নামে সেই ব্যক্তি। তিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের কসবা গ্রামের মৃত আলী বক্সের ছেলে।
ভাগ্য ভালো যে, মুসল্লিদের হাতে ধরা খেলেও গণধোলাই থেকে বেঁচেই গেছেন। তবে ঠিক কাজটিই করেছেন স্থানীয়রা। তার গণধোলাই না দিয়ে খবর দিয়েছেন ফরিদগঞ্জ থানায়।[ads2]
বিকেল তিনটার দিকে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত জুতা চুরির অপরাধে আব্দুল খালেককে এক বছরের কারাদণ্ড, সেই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো সাতদিনের সশ্রম কারাদণ্ডেরও আদেশ দেয়া হয়।
বাংলামেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসেন।
আদালত সূত্রমতে, হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদে সম্প্রতি জুতা চোরের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন তারাবির নামাজের সময়সহ প্রতি ওয়াক্তেই চুরি হয় শতাধিক জোড়া জুতা। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন মসজিদ কর্তৃপক্ষ আর মুসল্লিরা।[ads2]