দিনাজপুরে পশ্চিম উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবন থমকে দাঁড়িয়েছে। বিপাকে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ । তারা শীতের প্রকোপে ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুর আবহাওয়া আফিসের সিনিয়র অবজাভার কর্মকর্তা তজিবর রহমান জানায়, দিনাজপুরের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ প্রবাহিত হওয়ায় ঠান্ডার পরিমান বেড়ে গেছে। আরো কয়েকদিন এই ধরনের শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরোও জানায় দিনাজপুরে বাতাসের আদ্রতা আছে ৯৫ শতাংশ , সর্বনিম্ন তাপমাত্র আছে ১২.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা গত কালের চেয়ে কম ।
দিন মজুর আব্দুর ছাত্তার জানায় বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় ঠান্ডার পরিমান অনেক বেশি ঘর থেকে বের হওয়া যায় না ।
ফলে কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা ঠান্ডায় জড়সড় সময় কাটাচ্ছে। তারা বলছে তাদের প্রতি সরকারসহ সমাজের উচ্চ বৃত্তরা কেউ খেয়াল রাখছে না। তারা এক খন্ড শীতবস্ত্র পেলে তারা শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে পারে ।
এদিকে সাবিত্রী রানী শিশু বাচ্চা নিয়ে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছে। তিনি জানায় এক টুকরো গরম কাপড়ের আশায় অনেকের নিকট আবদার করেও কোন ফল হয়নি। অনেকেই খড়খুটা জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারনের করা চেষ্টা করছে । বিশেষ করে বৃদ্ধা ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে অনেক কষ্টে সময় পার করছে বলে তিনি জানিয়েছেন
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম জানায় দিনাজপুরে শীতের প্রকোপ একটু বেশি আমরা দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয় থেকে যে পরিমান শীতবস্ত্র পেয়েছিলাম তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ।