মাদারীপুরের আলোচিত সুমাইয়া-হ্যাপি হত্যার ৫ মাস পর হাইকোর্টের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুদ্দোজা শুভর নেতৃত্বে এই লাশ উত্তোলন করা হয়।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর দুই স্কুলছাত্রী সুমাইয়া ও হ্যাপিকে অপহরণের পর ধর্ষণ শেষে নির্যাতন করে বিষ খাইয়ে হত্যা করে বখাটেরা। ঘটনায় পরের দিন ১৪ আগস্ট নিহত সুমাইয়ার বাবা বিল্লাল শিকদার থানায় মামলা করেন। কিন্তু এক মাস পর ১৩ সেপ্টেম্বর মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে অপহরণ শেষে ধর্ষণের পর হত্যা মামলা করা হয়। বর্তমানে মাদারীপুরের এই আলোচিত মামলাটি সিআইডিতে তদন্ততাধীন রয়েছে।
নিহত সুমাইয়ার বাবা বিল্লাল শিকদার ও হ্যাপির মা মুক্তা বেগম বলেন, ‘মাদারীপুরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা উল্লেখ করে রিপোর্ট দিয়েছিল। এই রিপোর্ট আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় আমরা আদালতের মাধ্যমে লাশ পুনঃময়নাতদন্তের আবেদন করি। হ্যাপি ও সুমাইয়াকে বখাটেরা ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।’
এই মামলার সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ বিল্লাল কাজী বলেন, ‘নিহতদের পরিবার দাবি করেছে, মাদারীপুরের ময়নাতদন্তের তারা সন্তুষ্ট নয় তাই হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তকাজের স্বার্থে পুনঃময়নাতদন্ত করার জন্য সুমাইয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।’
মাদারীপুরের নির্বাজী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুদ্দোজা শুভ বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে আমরা ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠিয়েছি।’
Prev Post
Next Post