বলিউডে নয় নয় করে বছর পাঁচেক হয়ে গেল। সোশ্যাল মিডিয়ার কৃপায় ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয়তম সেলেবের তকমা মিলেছে। তার সিনেমার ট্রেলার, বা গান ইউ টিউবে রিলিজ করলেই সুপারডুপার হিট হয়। কিন্তু বলিউডে সাফল্য বলতে যা বোঝায় সানি লিওন এখনও তা পাননি। হেট স্টোরি টু, রাগিনী এমএমএস-টু তাঁর কল্যানেই বক্স অফিস সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু সমালোচকদের মন ভরাতে পারিনি তার কোনও সিনেমা। সমালোচকদের নম্বর পাওয়া নিরিখে এখনও পর্যন্ত সানির কোনও সিনেমায় ১০-এ ৩ বা ৪-এর বেশি পায়নি। কিন্তু অবশেষে সানি লিওনের কোনও একটা সিনেমাকে পাশ মার্কস দিচ্ছেন সমালোচকদের একটা বড় অংশ। সিনেমার নাম ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’।
ছবির নামেই পরিষ্কার সানির আরও একটা অ্যাডাল্ট সিনেমা। কিন্তু থ্রিলার ভিত্তিক এই সিনেমাকে নম্বর দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, অবশেষে কোনও একটা সিনেমায় সানি লিওনকে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেল। বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই সিনেমাকে পাঁচে তিনটি স্টার দেওয়া হয়েছে। যদিও রাজীব মাসন্দ সহ বেশ কয়েকজন নামদামী সিনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সানি আবার বেশ হতাশ করলেন।
সানি লিওনের এই সিনেমার পিছনে রয়েছে দুই মহিলার অবদান। ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডের কাহিনিকার ও পরিচালক দু জনেই মহিলা। পরিচালক জেসমিন ডিসুজা। কাহিনিকার ভবানী আয়ার। সাংবাদিক ভবানী এর আগে ব্ল্যাক, লুটেরা, গুজেরিশ-এর মত সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন। অন্যদিকে, পরিচালক জেসমিন ডিসুজার এটাই প্রথম সিনেমা। দুই নারীই সানিকে সাফল্যের সিঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। এই জন্যই হয়তো ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’কে বলিউডে সানির সেরা চেষ্টা বলা হচ্ছে।