ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা তিশা সম্প্রতি শেষ করেছেন ‘অস্তিত্ব’ ছবির কাজ। সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে এ ছবির ট্রেলার।
প্রথম দিকে ছবির শুটিং হয় সিলেটের শ্রীমঙ্গলে। সেখানে একটানা ১২ দিনের শুটিং হয়। এতে অংশ নেন তিশাসহ অন্য শিল্পীরা। এর পর শুটিং হয় ঢাকার বেশ কিছু লোকেশনে।
নতুন এই ছবিতে দেখা গেছে একেবারেই নতুন এক তিশাকে। ‘অস্তিত্ব’ ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে পরিচিতজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছেন বলেও জানান তিশা।
‘অস্তিত্বে’ অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবির একটি গানে কণ্ঠও দিয়েছেন তারা। ফার্স্টলুক মূলত ওই গানকে প্রাধান্য দিয়ে সাজানো। এ ছাড়া দেখা গেছে কিছু অ্যাকশন দৃশ্য এবং নিঝুম রুবিনা ও সুচরিতাকে। বেশ জমকালো আয়োজনে গানটির চিত্রায়ন হয়েছে। তিশাকে এমন গানে আগে দেখা যায়নি। আগে প্রকাশিত ছবি ও এ ভিডিওর সূত্র ধরে বলা যায়, সিনেমাটিতে শুভ-তিশার চরিত্রে কিছু বাঁক রয়েছে।
টিভি নাটকের পাশাপাশি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিশা। ‘অস্তিত্ব’ ছবিটি এখন মুক্তির অপেক্ষায়। খুব শিগগিরই সেন্সর ছাড়পত্রের জন্য জমা দেওয়া হবে এ ছবিটি। ‘অস্তিত্ব’ ছবিতে তিশা অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভর বিপরীতে।
আরিফিন শুভ ও তিশা ছোট পর্দায় অনেক নাটকে একসঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করলেও বড় পর্দায় এটিই তাঁদের প্রথম কাজ। এ সিনেমায় শুভ-তিশা ছাড়া আরো অভিনয় করছেন সুব্রত, সুজাতা, জোভান, সৌমি, বাদল, ডন, নিজুম রুবিনা, সুচরিতা, সুজাতা, আজিম, কাবিলা প্রমুখ। এই ছবিতে গান থাকছে মোট পাঁচটি। এর গল্প লিখেছেন কার্লোস সালেহ। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন কার্লোস সালেহ, অনন্য মামুন ও সোমেশ্বর অলি। ড্রিমবক্স লিমিটেডের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন কার্লোস সালেহ। বিশ্ব পরিবেশনায় রয়েছে অ্যাকশন কাট লিমিটেড। এর আগে সিনেমার প্রচারের জন্য শুভ-তিশা ফটোশুটও করেন। চলতি বছরেই ছবিটি মুক্তি দিতে চান পরিচালক।
সিনেমায় এই ধরনের অভিজ্ঞতা তিশার জন্য একেবারেই নতুন। ছবিতে অভিনয় আর আইটেম গানে নাচ প্রসঙ্গে তিশা বলেন, এটা ঠিক যে ‘অস্তিত্ব’ ছবিতে আমাকে সবাই একেবারে নতুন রূপে দেখতে পাবেন। ট্রেলার প্রকাশিত হওয়ার পর তা অনেকে কিছুটা হলেও অনুমান করতে পেরেছেন।
তিশা বলেন, ছোটবেলা থেকে আমি নাচ ও গানের সঙ্গে যুক্ত। সে হিসেবে আমাকে সবাই নাচের শিল্পী ও গানের শিল্পী হিসেবেও চেনেন। কিন্তু অনেক দিন আমি গান ও নাচ নিয়ে দর্শকের সামনে আসিনি।
এছাড়া, আমার চর্চাও খুব একটা ছিল না। এই ছবির গানের সঙ্গে নাচতে গিয়ে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। অনেকবার টেক দিতে হয়েছে। ফাইনালি সবার সহযোগিতায় তা সবার ভালো লেগেছে। পরিচিতজনদের সবাই দেখে খুবই প্রশংসা করেছেন। উৎসাহ দিচ্ছেন। আমিও অনুপ্রাণিত হচ্ছি।
ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ বলেন, “গল্প শুনেই রাজি হয়েছিলাম ছবিতে কাজ করার জন্য। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের যখন নিজের ‘অস্তিত্ব’ই অনেকটা নড়বড়ে, এমনই সময় আমরা এই ছবির কাজ করছি। আশা করছি আমাদের চলচ্চিত্রের অবস্থান শক্ত করতে এই ধরনের ছবি ভালো ভূমিকা পালন করবে। চলচ্চিত্রটির প্রথম ভাগের শুটিং শুরু হয় তিশাকে নিয়ে। কারণ তখন আমি অস্ট্রেলিয়াতে ‘মৃত্যুপুরী’র শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। সেখান থেকে ফিরেই অক্টোবরের ১০ তারিখ আমি দেশে ফিরে এই চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে অংশ নিই।