ঢাকা: কেউ তাকে মন্দ বলে, কেউ ভালো। পর্নস্টার হোক কিংবা বলিসুন্দরী- আলোচনার শিরোনামে সবসময় থাকেন সানি লিওন। পরিচালক থেকে প্রযোজক- বক্স অফিসে ছবি হিট করতে এখন একটাই মন্ত্র ‘লিওন’। শুরু থেকেই এই নায়িকাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। সানির বর্তমান জীবন থেকে অতীত, খুঁটিনাটি সবদিকেই ভক্তদের কৌতূহলী দৃষ্টি। তবে সব জেনেও অজানা থেকে যায় অনেক কিছু। আজ ১৩ মে সানির জন্মদিন, ৩৪ বছরে পা দিলেন তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে তার কিছু অজানা তথ্য বাংলামেইলের পাঠকদের জন্য।
সেলেব্রিটি নামেই সঙ্গে ট্যাগ ঝোলে ‘টু লেট’। নির্দিষ্ট সময় পার করে ঘণ্টা দু’এক পরে পৌঁছানো এখন তারকাদের যখন স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে উঠেছে। এই সব ইঁদুর দৌড় থেকে হাজার মাইল দূরে সানি। সময়ের মূল্য তার কাছে অনেক। নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক জায়গায় লিওনি ঠিক পৌঁছে যান। তাই ‘লেট’ এই শব্দটি সানির ডিকশনারিতে নেই।
ছোট থেকেই পাড়ার মোড়ে ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছেন তিনি। পর্দায় যে রূপেই আসুক নাক কেন সানি, আসলে তিনি টম বয়। অনেকেই জানেন না সানি খুব ভালো একজন হকি খেলোয়াড়। তবে সময়ের অভাবে এখন আর খেলা হয়ে ওঠে না, কিন্তু সময় পেলেই খেলা দেখতে বসে পড়েন টিভির সামনে।
জুতার উপর সানির অস্বাভাবিক দুর্বলতা। সানির ওয়ার্ডরোবে নাকি জুতোর কালেকশন নজরকাড়া। দেশী বিদেশী অনেক জুতার সম্ভার সেখানে। কাজে কিংবা বেড়াতে যেখানেই যান, সানির শপিং লিস্টে জুতা থাকবেই।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ধর্ষিত হন সানি। অন্য এক স্কুলের বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছেলেটি নিভৃতে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর করে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলে তার সঙ্গে। তবে তার ঠিক দুই বছর পরেই সানি বুঝতে পারেন- শুধু ছেলেদের প্রতি নয়, মেয়েদের প্রতিও সমান যৌন আকর্ষণ বোধ করেন তিনি।
একটি জার্মান বেকারীতে কর্মজীবন শুরু করেন সানি। পর্ণ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে অাসার আগে তিনি ট্যাক্স ফার্ম, ফিনান্সিয়াল কোম্পানী এবং মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করেছেন।
জন্মদিন নিয়ে তারকাদে মাথা ব্যথার শেষ নেই। কিন্তু জন্মদিন পালন করতে করতে একদমই ভালোবাসেন না সানি। এইদিনটি একান্তে কাটাতে পছন্দ করেন। তবে এই জন্মদিনে কাজের জন্য ইউনিটের সকলের সঙ্গে আছেন তিনি। জন্মদিনের উপহার হিসেবে হীরার একটি আংটি দিয়েছেন স্বামী ড্যানিয়েল।