একটু একটু করে যেন সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছেন তিনি। রূপ এবং গুণের কোন কমতি নেই তার। মিষ্টি চাহনি আর চঞ্চলতা তাকে করেছে অন্য নায়িকাদের চাইতে অনেকটাই আলাদা। আলিয়া ভাট বলিউডে এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। প্রথম সিনেমা দিয়েই প্রমাণ করে দিয়েছেন যে বলিউডে শক্ত স্থান করতেই তার আগমন। বলিউডের বাঘা-বাঘা রূপসী নায়িকাদের পেছনে ফেলে দীপ্ত পায়ে এগিয়ে চলার নামই যেন আলিয়া। তবে এমন নিস্পাপ-মিষ্টি মুখের অন্তরালে নেই তো আরেক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিক?
কী ভাবছেন? আসলেই নেই তো এমন কোন অজানা দিক যা আপনি জানেন না? সম্প্রতি আলিয়া ভাট উপস্থিত হন আনুপম খেরের সেলিব্রেটিদের নিয়ে করা অনুষ্ঠান ‘দ্যা আনুপম খের শো’তে। আর এই শোতে এসেই আলিয়া ভাট তার মনের দরজা খুলে দেন তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে। এমন এমন সব অজানা তথ্য এবং ঘটনা খুলে বলেন যা তার ভক্তদের অবাক তো করেই এবং পরিচিত করায় এক নতুন আলিয়ার সাথে। কী এমন স্বীকারোক্তি করেন এই অভিনেত্রী? চলুন জেনে নেই।
(২) আলিয়ার এমন কথাকে অনেকে অহংকার বা দাম্ভিকতা হিসেবে নিলেও,আলিয়ার পরের স্বীকারোক্তিটি সবাইকে স্বস্তির ছোঁয়া দেয়। আলিয়া জানায়, যখনই তার বাবা বুঝতে পারেন যে তার ছোট আলিয়া জনপ্রিয়তায় গা ভাসিয়ে দিতে পারে, তখনই আলিয়াকে একটি বাক্য মনে করিয়ে দেন। তা হল, “যখনই মনে করবে তুমি তোমার লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছ, সবকিছু অর্জন করে ফেলেছ, তখনই তুমি খসে পড়া এক নক্ষত্রে পরিণত হবে।”
(৩)আলিয়া ভাট টিনএজ বয়স থেকেই পার্টি করতে বেশ ভালোবাসেন। কিন্তু বাবা মহেশ ভাট মেয়ের এমন দুর্বলতাকে মেনে নিতে পারেন না। আর এই পার্টিকে ঘিরেই বাবার রোষানলে পড়তে হয় আলিয়াকে। অন্তত তেমনটাই জানালেন এই অভিনেত্রী। আলিয়া জানান, একবার বাবার রাগের মুখে পড়তে হয় আলিয়াকে। সেবার আলিয়া বাবাকে মিথ্যা বলে বন্ধুদের সাথে পার্টি করতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। আর রাতে পার্টি করে বাড়ি ফিরতেই বাবার সম্মুখীন হতে হয় আলিয়াকে।
(৪)মায়ের সাথে আলিয়ার সম্পর্ক নিয়ে মজার তথ্য উন্মোচন করেন এই অভিনেত্রী। মার সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে আলিয়ার। আর এই ঝগড়ার প্রকোপ যখন হয় আকাশচুম্বী তখন পরিবেশ ঠাণ্ডা করতে আলিয়ার পক্ষ নেন বাবা মহেশ। আলিয়া জানান তার মা আলিয়াকে এখনো শিশুই মনে করেন। আলিয়া যে এখন বলিউডের সফল নায়িকাদের অন্যতম তা ভুলে যান। কাজের মাঝেও আলিয়াকে ফোন করে খাবারের কথা মনে করিয়ে দেন, জিমে যেতে জোরাজুরি করেন, কখন কী পড়বেন, কীভাবে কথা বলবেন এসব নিয়ে প্রতিদিনই আলিয়াকে তার মায়ের কথাকে প্রাধান্য দিতে হয়। কিন্তু বাবা একেবারেই ভিন্ন তাকে এসব নিয়ে একেবারেই খোঁচাখুঁচি করেন না। কিন্তু আমি এখনো মায়ের কাছে সেই বাচ্চাটি রয়ে গেছি।
(৫)আলিয়া ভাট বলিউডের জনপ্রিয় তারকাতে পরিণত হয়েছেন তা সকলেরই জানা। আর এই জনপ্রিয়তায় বাবা-মা খুশী হবেন, নিজের সন্তানের পরিচয়ে পরিচিত হতে পেরে। কিন্তু এখানেও রয়েছে একটি মজার কাহিনী। একদিন হঠাৎ করেই আলিয়া ডেকে তার বাবা মহেশ ভাট জানান, তিনি অনেক হতাশ। আর এই হতাশার একমাত্র কারণ আলিয়া। এসব শুনে আলিয়া অবাক হয়ে যান এবং কী করেছেন জানতে চান। মহেশ ভাট জানান, এখন আর কেউ আমাকে মহেশ ভাট বলে ডাকে না। সবাই আমাকে আলিয়ার বাবা বলে সম্বোধন করে। তাই আমি প্রচন্ড মর্মাহত।
– See more at: http://www.priyo.com/2014/08/19/97528.html#sthash.5TphrcTv.dpuf