ঈদ মানেই সালমানের রাজত্ব!

0

[ads1]এ বছরের শুরুর দিক থেকেই তুমুল আলোচনা। দুই খানের লড়াই হবে ঈদের দিন। সালমানের ‘সুলতান’ আর শাহরুখের ‘রইস’। অনুমানের পারদ বাড়তে লাগল যখন, তখনই বোঝা গেল ঈদের সময় সালমানের ছবির সঙ্গে নিজের ছবি মুক্তি দিয়ে ব্যবসায় লোকসান করতে চান না শাহরুখ। কিছুদিন পরই জানা গেল, পিছিয়ে যাচ্ছে ‘রইস’। দিন কয়েক আগে স্পিলবার্গের ছবিও ভারতে মুক্তি Biography-Of-Salman-Khan-071021264948797-300x200দেওয়ার তারিখ দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর একটাই কারণ, ঈদ মানেই বলিউড বক্স-অফিসে সালমান খানের একচ্ছত্র আধিপত্য।

১৯৮৮ সালের ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ ছবি দিয়ে বলিউড অভিষেক সালমান খানের। পরের বছরের ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিটিই ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের ব্রেকথ্রু ছবি, যে ছবির মাধ্যমে তাঁর সফলতম ‘প্রেম’ চরিত্রটির সূচনা। এরপর দুই দশক ধরেই বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে সাফল্য ধরে রেখেছেন সালমান খান, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্রে। আর এর মধ্যে ক্যারিয়ারের উত্থান পতন তো ছিলই।[ads2]

তবে ব্যবসাসফল বাণিজ্যিক ছবির নায়ক থেকে ‘সুপারস্টার’ হয়ে উঠেছেন সালমান খুব বেশি আগে নয়। ২০০৯ সালের ‘ওয়ান্টেড’ ছবি দিয়ে তিনি অকল্পনীয় তারকাখ্যাতি, সাফল্য এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই ছবিটি ১০০ কোটি রুপির ঘর অতিক্রম করে। এখান থেকেই সালমানের ঈদ ম্যাজিক শুরু, কারণ এটিই ছিল তাঁর প্রথম ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবি। তার পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই ঈদের সময়টা নিজের করে নিয়েছেন সালমান দুর্দান্ত বক্স-অফিস সাফল্য দিয়ে।

১. ওয়ান্টেড (২০০৯)

এই ছবিটির আগে টানা কয়েকটি ছবি ফ্লপ হয়েছিল সালমানের, যেমন- যুবরাজ, গড তুসি গ্রেট হো, হ্যালো ও হিরোজ। ভাবা যায়! তবে এই ছবি দিয়ে বলিউডে বিনোদনের মাত্রাই বদলে দেন সালমান। প্রভু দেবার পরিচালনায় এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আয়েশা তাকিয়া। ১২০ কোটি টাকা আয় করেছিল ছবিটি।

২. দাবাং (২০১০)

আরবাজ খানের প্রোডাকশনে ‘দাবাং’ ছবিতে অভিনয় সালমানের জীবনই অনেকটা বদলে দেয়। পুলিশ অফিসার ‘চুলবুল পান্ডে’ চরিত্রটি তাঁকে এতটাই জনপ্রিয়তা এনে দেয় যে ছবিটি রীতিমতো কাল্ট পর্যায়ে পৌঁছে গেছে অনায়াসেই। ছবিটি আয় করেছিল প্রায় ১৪০ কোটি রুপি।[ads2]

৩. বডিগার্ড (২০১১)

এই ছবি দিয়ে বোঝা যায়, ‘ওয়ান্টেড’ ও ‘দাবাং’-এর প্রভাব সালমানের ক্যারিয়ারে কতটা পড়েছে। এখানেও সালমানের সংলাপ, অভিনয়ের ভঙ্গি কিংবা অ্যাকশনের ঘরানা ছিল আগের দুটি ছবির মতোই। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন কারিনা কাপুর খান। দেড়শো কোটি রুপি আয় করেছিল ছবিটি।

৪. এক থা টাইগার (২০১২)

সালমানের অ্যাকশনই কেবল নয়, এই ছবির বিশেষ আকর্ষণ ছিল সালমান-ক্যাটরিনা জুটির রসায়ন। সাফল্যের নতুন মাত্রা এনে দেওয়া এই ছবি পরিচালনা করেছিলেন কবির খান। ছবিটি প্রায় ২০০ কোটি রুপি আয় করে।

৫. কিক (২০১৪)

এই ছবি দিয়ে ২০০ কোটির আয়ের ক্লাবও পেরিয়ে যান সালমান। তাঁর অভিনব চরিত্র এবং ছবির গানগুলোর সাফল্যও উল্লেখ করার মতো। ২৩০ কোটি রুপিরও বেশি আয় করে ছবিটি।[ads1]

৬. বজরঙ্গি ভাইজান (২০১৫)

এই ছবিতে কোনো মারদাঙ্গা, ‘দাবাং খান’ মার্কা নয়; বরং সালমানের দেখা মেলে বোকাসোকা এক সাধারণ যুবকের চরিত্রে। গেল বছরের এই সময়টিতে সালমান তখন হত্যা মামলার সঙ্গে লড়াই করছেন। কাজেই দর্শকের আগ্রহের তুঙ্গে তিনি ছিলেন বেশির চেয়ে আরো বেশি। এই ছবি দিয়ে ৩০০ কোটির ক্লাবও অতিক্রম করে ফেলেন সালমান, ছবিটি আয় করে প্রায় সোয়া ৩০০ কোটি রুপি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More