ঢাকা: শুধু মিডিয়া নয়- বর্তমান আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বলিউডি হিরো সালামান খানের জেল, জামিন এবং শাস্তি। হিট অ্যান্ড রান কেসে ১৩ বছর পর রায় দেয় আদালত। প্রাথমিকভাবে ৫ বছরের জেল হয় ৪৯ বছর বয়সী এ তারকার। দুইদিনের জামিন শেষে আপাতত কারাবাসের আদেশ আজ স্থগিত করেছে আদালত। ভক্ত, সহকর্মী এবং সাধারণ মানুষের আগ্রহের কমতি নেই এই সুপারস্টারের রায় ও সাজা নিয়ে। তবে শুধু সালমান খান নয়- বিশ্বের বিখ্যাত সব তারকারাও কারাভ্রমণ করেছেন কৃতকর্মের জন্য। এমন ১০ জন তারকা-
সালমান খান: তাওয়া গরম, তাই প্রথমেই আসে সাল্লু মিয়ার নাম। ২০০২ সালে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালিয়ে ফুটপাতবাসীকে হত্যা করেন তিনি, মারাত্মক জখম হয় ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা আরও ৩ জন। সম্প্রতি এই কেসে সাজাপ্রাপ্ত হলেও তার মাথায় ঝুলে আছে আরেকটি হত্যা অভিযোগের খাঁড়া। ১৯৯৮ সালে দূর্লভ কৃষ্ণসার শিকারের অভিযোগে বিশেষ বণ্যপ্রাণী সংরক্ষন আইনে আটকে আছেন সালমান। দেখা যাক, কি আছে তার ভাগ্যে!
রবার্ট ডাওনি জুনিয়র: পর্দায় ‘আয়রন ম্যান’ বিশ্ববাসীকে বাঁচালেও মাদক ও অস্ত্র আইনে জেল খেটে এসেছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে বিশেষ এই আইনে রবার্ট ডাওনি জুনিয়র দোষী সাব্যস্ত হলে ৩ বছরের কারাবরণ করেন। অবশ্য মাত্র এক বছরের মাথায় বিশেষ ব্যবস্থায় জামিন পান তিনি।
পল ম্যাকার্টি: বিটলস্ ব্যান্ডের এই সদস্যকে ১৯৮০ সালে গ্রেপ্তার করেন জাপান পুলিশ। কনসার্টে যােগ দিতে যাচ্ছিলেন ব্যন্ডদল নিয়ে। জাপান বিমান বন্দরে ৮ আউন্স মারিজুয়ানা বহনের কারনে কারাবাস হয় তার। মাদকদ্রব্য বহনের কারনে ৭ বছরের জেল হতে পারতো তার। অবশ্য ১০ দিন পরেই ছাড়া পান তিনি।
ফিফটি সেন্ট: জনপ্রিয় র্যাপার ফিফটি সেন্ট ১৯৯৪ সালে জেলে যান। তিনি ছদ্মবেশী পুলিশের কাছে কোকেন বিক্রি করেছিলেন। তার বাড়ি থেকেও উদ্ধার হয় বিপুল পরিমানে কোকেন, হিরোইন এবং অবৈধ পিস্তল। ৩ থেকে ৯ বছরের কারাবরণের সম্ভাবনা থাকলেও ৬ মাস পরেই মুচলেকা দিয়ে মুক্তিলাভ করেন তিনি।
প্যারিস হিলটন: হলিউডি ট্রাবল স্টার প্যারিস বিভিন্ন সময়ে পুলিশি হেফাজতে থেকেছেন মাদক বহন ও গ্রহণের অভিযোগে। ২০০৩ সালে ৩ দিন জেল খেটে মুক্ত হন তিনি। অবশ্য টানা ৪০ দিন নিজের বাসায় পুলিশের নজরবন্দী থাকতে হয় হিলটন হোটেলের অন্যতম মালকিনকে।
সঞ্জয় দত্ত: সালমান খানের খুব কাছের বন্ধু বলউডি ব্যাড বয় সঞ্জয় দত্ত। প্রথম বয়সে মাদক ও অস্ত্র চক্রে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৯৩ সালে অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষন এবং মুম্বাই বোমা হামলার অভিযোগে ৬ বছরের কারাবাস হয় তার। পরে সাজার পরিমাণ কমিয়ে করা হয় ৫ বছরের জেল। এরমধ্যে তিনি ১৮ মাস জেল খেটে ফেলেছন, বাকি আছে মাত্র ৩ বছর ৬ মাস।
মার্ক ওয়েলবার্গ: কিশোর বয়সে একটি অপরাধ চক্রের সদস্য ছিলেন মার্ক। কমপক্ষে ২০ বার পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছেন কোকেন পাচারের জন্য। ২০১৪ সালে ‘গাইস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ জিতে মঞ্চেই স্বীকার করেন, মাত্র ১৬ বছর বয়সে জেল খেটেছেন তিনি। দুজন ভিয়েতনামি নাগরিককে আক্রমন করায় খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কিশোর মার্ক। দুই বছরের জেল হলেও অপরাধের মাত্রা ও বয়স বিবেচনা করে ৪৫ দিন কারাবাসের নিদেশ দেয় আদালত।
লিন্ডসে লোহান: পুলিশের সঙ্গে হলিউডের আরেক ট্রাবল স্টার লিন্ডসের লুকোচুরি নতুন নয়। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালানো, মাদক বহন ও গ্রহণ, বার কিংবা ডিস্কোতে মারপিট ও ভাঙচুর- ইত্যাদির অভিযোগে তিনি প্রায়ই শাস্তি পান। ২০০৭ সালে প্রথম জেলে যান তিনি, ৮৪ মিনিটের মাথায় ছাড়াও পান। এরপর থেকে জেল ও রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার হয়ে ওঠে তার দ্বিতীয় বাড়ি। তবে একটানা বেশিদিন কারাবাস করেননি লিন্ডসে।
দ্য রোলিং স্টোনস: বিখ্যাত বৃটিশ রক ব্যান্ড দ্য রোলিং স্টোনস দলের সদস্য মিক জ্যাগার ও কেথ রিচার্ডস মাদক আইনে জেলে যান। নিজেদের দলের সাফল্যের কারনেই বাড়িতে পার্টি দিয়েছিলেন কেথ রিচার্ডস। দোষী সাব্যস্ত হলে কারাবরণ করেন তারা। অবশ্য দিন দুয়েকের মধ্যে মুচলেকা দিয়ে মুক্তিলাভ করেন দুই বন্ধু।
ওয়েসলি স্নাইপস: হলিউডি এই অভিনেতা ৩ বছরের কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত হন। ২০০৮ সালে কারাবরণ করেন তিনি। তারা অপরাধ- ১৯৯৪ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত রাস্ট্রীয় কর ফাঁকি দিয়েছেন। পূর্ণমেয়াদে জেল খেটে ২০১৩ সালে মুক্তি পান ওয়েসলি।