বিনোনদ রির্পোটার: জনপ্রিয় অভিনেত্রী পপি কোন পথে হাঁটছেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ তো মুখরোচক অনেক সংবাদও প্রকাশ করেছেন। এসবের সত্যতা যাচাই করতে পপির সাথে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘সমাজে ভালোমন্দ দুই শ্রেণীর মানুষ আছে। একই জিনিস দু’জনের কাছে দুই রকম মনে হতে পারে। বিষয়টা যখন সবার সামনে কোনো গণমাধ্যম তুলে ধরবে তখন অবশ্যই এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অনন্তপক্ষে আমি এ রকমটি আশা করি।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে প্রকাশিত কিছু মুখরোচক খবরের কথা শুনেছি। কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি এমনটি করতে পারেন না। খবরটি শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি।’
এ রকম খবর শুনে পপি বিস্মিত হতেই পারেন। কিন্তু প্রিয় অভিনেত্রী সম্পর্কে ভক্তদের কৌতূহল থাকাটা নিশ্চয়ই দোষের কিছু না। গত প্রায় দেড় বছর ধরে বড় পর্দায় উপস্থিতি নেই পপির। চলচ্চিত্রের বাইরে মাঝে মাঝে তাকে দেখা যায় ছোট পর্দায়। এই লম্বা সময় পপিকে পর্দায় না দেখে অনেক রকম গুঞ্জন বেরিয়েছে। বিষয়গুলো সম্পর্কে পপির মন্তব্য না পাওয়ায় গুঞ্জনগুলো সত্য বলে ধরে নিয়েছেন অনেকে। কিছু দিন আগে পপিকে নিয়ে সবচেয়ে বড় যে গুঞ্জনটি বেরিয়েছিল তা হলো, ‘গোপনে বিয়ে করেছেন পপি। বরের নাম ডাক্তার মিজান। বাড়ি খুলনায়।’ এ বিষয় নিয়ে গতকাল পপি বলেন, ‘আমি জানি না এসব প্রচারণার কী মানে আছে? একজন আর্টিস্ট সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সমাজে ছড়িয়ে দেয়া ছাড়া এতে লাভই বা কী?’ পপি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি যদি কাউকে বিয়ে করি, সেটা গোপন করার কী আছে? সবচেয়ে বড় কথা আমার লাভ কী?’ এমনও তো হতে পারে বিয়ের খবর প্রকাশ হলে ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ ‘প্রকাশ না করলেও তো পড়তে পারে।’ পপি বলেন, ‘মৌসুমী আপু আর সানী ভাই তো অনেক আগেই বিয়ে করেছেন। তারপরও তো মৌসুমী দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। আমি বিয়েকে ক্যারিয়ারের জন্য কোনো বাধা মনে করি না। বিয়ে করলে সবাইকে জানিয়েই করব এই নিশ্চয়তা আমি ভক্তদের দৃঢ়তার সাথে দিতে পারি।’ পপির এত কথা বলার কারণ হলো, তিনি যে বিয়ে এখনো করেননি সেটা সবার কাছে পরিষ্কার করা। তাহলে তিনি বিয়ে করছেন কবে? ‘আমাকে সহজে বুঝতে পারে এবং আমার কাজের প্রতি সম্মান দেখাবেÑ এমন একজনকে খোঁজা হচ্ছে। যদি মিলে যায় সবাইকে জানিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসব।’
এখন পপির হাতে থাকা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, নারগিস আক্তারের শর্টকাটে বড়লোক ও পৌষ মাসের পিরিতি, সাদ্দামের বিয়ে হলো বাসর হলো না এবং উত্তম আকাশের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি ছবি রয়েছে। ছবির পরিণতিই এক! ছবিগুলোর শুটিং শুরু হয়েছে, কিন্তু নির্মাণ আর শেষ হচ্ছে না। আর এই পরিণতি নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন পপি। হতাশায়ও ভুগছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ছবিরই গল্প-গান-লোকেশন ভালো ছিল। বিশেষ করে শর্টকাটে বড়লোক ও পৌষ মাসের পিরিতি ছবি দু’টির ব্যাপারে অনেক আশাবাদী ছিলাম। ছবি দু’টি আমাকে আবারো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের স্বাদ দিতে পারত। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে ছবি দু’টি আটকে রয়েছে। বাকি ছবিগুলো নিয়েও নতুন করে কিছুই বলার নেই।’ আসছে ফেব্রুয়ারি মাসে সালমান হায়দারের দেহ নামের একটি চলচ্চিত্রে পপি কাজ শুরু করবেন বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া মুক্তি প্রতিক্ষিত দি ডিরেক্টর নামের একটি চলচ্চিত্র এখন সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সেন্সর বোর্ড কর্তৃক ছাড় না দেয়ায় আন্দোলনের ঝড় বইছে। কিন্তু পপি এখানে চুপ মেরে ডুব দিয়ে আছেন কেন, তা জানতে কৌতূহলী তার সাধারণ ভক্তরা। এ বিষয়ে পপিকে প্রশ্ন করা হলে, ‘এখানে আমার কিছু করার নেই। পরিচালক চেষ্টা করছেন। চলচ্চিত্রটির গল্প অনেক সুন্দর, দর্শক দেখে আনন্দ পাবেন।’
Prev Post