ঢাকা: দুপুরে বম্বে হাইকোর্ট ৫ বছরের কারাবাসের সাজা স্থগিত রাখার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় হাইকোর্টের নির্দেশমতো দায়রা আদালতে আত্মসমর্পণ করে নতুন করে ৩০ হাজার টাকার বন্ড জমা দিয়ে জামিন পেলেন সালমান খান। দায়রা বিচারক ডি ডব্লু দেশপান্ডে অবশ্য তাকে দু সপ্তাহের মধ্যে সমপরিমাণ অঙ্কের একজন জামিনদার পেশ করতে বলেছেন।
জেলযাত্রা এড়ানো সম্ভব হওয়ায় মাথার ওপর থেকে উদ্বেগের বোঝা নেমে গেছে ৪৯ বছর বয়সী এ তারকার। দিনের শেষে ভারমুক্ত মনে বান্দ্রার বাড়ির পথে পা বাড়ান তিনি। চোখমুখে স্বস্তির ছাপ। পরনে নীল ডেনিম জিনস, সাদা শার্ট। কয়েকশ সমর্থক তাকে দেখতে সেখানে হাজির ছিলেন তখন। তাদের হর্ষধ্বনির মধ্যেই আদালত চত্বর ছাড়েন সালমান।
২০০২ সালের হিট অ্যান্ড রান মামলায় গত বুধবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন দায়রা আদালতের বিচারক দেশপান্ডে। কিন্তুকয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বম্বে হাইকোর্ট থেকে দুদিনের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে যান সালমান। তার মেয়াদ শেষ হয় আজই।
হাইকোর্টের রায়ে সালমান জোড়া স্বস্তি পেয়েছেন। নিম্ন আদালতের ৫ বছরের কারাবাসের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাড়ল অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ। হাইকোর্টে যতদিন মামলা চলবে, ততদিন জামিনে মুক্ত থাকবেন সলমন।
সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ শুরু হয় শুনানি। সালমানের আইনজীবী অমিত দেশাই ও শ্রীকান্ত শিভাড়ে দাবি করেন, দুর্ঘটনার রাতে গাড়িতে চারজন থাকলেও, তাদের মধ্যে একজনকে জেরা করেনি পুলিশ। ঘটনার দিন চালকের আসনে সলমন ছিলেন, তাও প্রমাণিত নয়। সরকারি আইনজীবী এ বক্তব্যের বিরোধিতা করলে তা ধোপে টেকেনি।
সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে সালমানের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ান। তবে তার নির্দেশ, বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে বান্দ্রা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে সালমানকে।
সোমবার থেকে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হচ্ছে আদালতে। তাই ১৫ জুন বম্বে হাইকোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে। দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।