শিল্পা শেঠী থেকে শুরু করে আয়শা টাকিয়া বলিউডপাড়ার অভিনেত্রীরা সাধারণত জুটি বাঁধেন বড় বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সঙ্গে। বিগত কয়েক বছরের ইতিহাস থেকে দেখা গেছে, বাস্তবে জীবনসঙ্গী হিসেবে বলিউড সুন্দরীদের পাশে অভিনেতারা নেই। বিয়ের ব্যাপারে তাঁদের পছন্দের তালিকায় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের বেছে নেওয়ার পেছনে পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হলো। আর্থিক নিরাপত্তা বলিউডে অভিনেত্রীদের ক্যারিয়ার সাধারণত অভিনেতাদের চাইতে অনেক কম হয়। অনেক নায়িকার ক্যারিয়ার খুব সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি তখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একই পেশার অভিনেকতাদের চেয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক বেশি নিরাপদ ভবিষ্যৎ আশা করেন তাঁরা। স্পটলাইটটি নিজের ওপরেই থাকে অভিনেত্রীরা মানুষের দৃষ্টি এবং ক্যামেরার ঝলক নিজেদের ওপর পড়তেই পছন্দ করেন। মিডিয়ার চোখে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী অপেক্ষা তারকা অভিনেত্রীর প্রতিই বেশি আগ্রহী। নায়িকার জীবনসঙ্গী নায়ক হলে তাদের দুজনকে নিয়েই মাতামাতি থাকে। অনেক ক্ষেত্রে নায়কের জনপ্রিয়তা বেশি হতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে নিজেকে ম্লান মনে হয় অভিনেতার পাশে। তাই নায়কের চেয়ে ব্যবসায়ীই বেশি গ্রহণযোগ্য। পেশাগত ঝুঁকির মাত্রা বেশি অভিনেতার সঙ্গে ঘর বাঁধলে ভবিষ্যতে পেশায় ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্র দুজনের সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকা থাকলে নানা সমস্যা তৈরি হয়। যেমন- সাইফ আলী খান কারিনা কাপুরকে বিয়ে করার পর শহীদ কাপুরের সঙ্গে সিনেমা করেন না। কারণ কারিনার সাবেক প্রেমিক তিনি। আবার অভিষেক বচ্চনের পক্ষে সালমান খানের সঙ্গে ছবি করাটাও কঠিন বিষয়। ঐশ্বরিয়ার সাবেক প্রেমিক হিসেবে তাঁর পক্ষে সালমানের সঙ্গে অভিনয় করাটা অসম্ভব। তাই অভিনেত্রীরা ভাবেন, তাদের এমন একজনকে বেছে নিতে হবে যিনি তার পেশার সঙ্গে যুক্ত নন। ভিন্ন জীবন কাটানো সহজ সিনেমার তারকারা সব সময় একইরকম জীবন কাটান। মানুষের আগ্রহ, ক্যামেরার ঝলকানি, পাপারাজ্জির যন্ত্রণা ইত্যাদি। একটু ভিন্ন জীবন কাটাতে চাইলে ভিন্ন জগতের কাউকে সঙ্গী করে জীবনটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা যায়। কিন্তু অভিনেতার সঙ্গিনী হলে তিনি চাইলেও এ জগতের পরিবেশ থেকে আলাদা হতে পারেন না। এ ক্ষেত্র মাধুরি দীক্ষিত উদাহরণ হতে পারেন। তিনি আমেরিকা প্রবাসী ডাক্তারকে বিয়ে করে দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। সন্তান হওয়ার পর তাদের বড় করে আবার এ জগতে ফিরে এসেছেন। এ সময়ের জন্য বেশ শান্তিতে জীবন কাটিয়েছেন তিনি। সমালোচনার সুযোগ কম একজন অভিনেতার সঙ্গে ঘর করাটা অনেকভাবেই অস্বস্তিকর মনে করেন অভিনেত্রীরা। একজন নায়ক অন্য নায়িকার সঙ্গে কোনো সিনেমায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করলেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়। শুধু এ জন্য স্ত্রী হিসেবে নিজের মতামত জানাতে হয় ক্যামেরার সামনে। আবার নায়কদের জীবনে নানা স্ক্যান্ডালের ঘটনা ঘটে অহরহ। অন্যদিকে, সিনেমার বাইরের মানুষটি অনেক নিরাপদ। তাঁকে নিয়ে অভিনেতাদের মতো স্ক্যান্ডালের ছড়াছড়ি থাকে না। তাই দাম্পত্যজীবন হয় অনেক সুখকর।