শুক্রবার বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিতির সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থার কথা প্রথম আলোর মাধ্যমে জেনেছেন দেশ ও দেশের বাইরের ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা । সেসময় বলা হয়েছিল, দিতিকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস নিতে হচ্ছে। আজ রোববার দুপুরে মুঠোফোনে দিতির ছেলে শাফায়েত চৌধুরী কিছুটা আশার কথাই শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মায়ের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। আজ রোববার বিকেলে মায়ের ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে দেওয়া হতে পারে।
ভারতের চেন্নাইয়ের এমআইওটি হাসপাতালের (মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজি) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের গুণী এই অভিনয়শিল্পী।
মায়ের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে শাফায়েত চৌধুরী বলেন, ‘ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে দেওয়ার পর আমরা মাকে কেবিনে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবছি। চেন্নাইতে আসার পর আমরা ভাড়া বাসা থেকে এনে মাকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছিলাম। এর মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিসিইউ ও আইসিইউতে রাখতে হয়েছিল। মা সব মিলিয়ে পাঁচ দিন আইসিইউ ও সিসিইউতে ছিলেন।’
এদিকে, সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দিতির মেয়ে লামিয়া জানিয়েছেন, মায়ের শরীরে আরও একটা অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে তা সম্ভব নয়। মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
গত ২৯ জুলাই চেন্নাইয়ে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজিতে (এমআইওটি) দিতির মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর আগে ঢাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন দিতি। তখন তাঁর মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। এরপর ২৫ জুলাই তাঁকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন দিতি। চেন্নাই থেকে ফিরে আসার পর বাসায় ছিলেন দিতি। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় ৩০ অক্টোবর তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকায় ফিরে বেশ কিছুদিন সুস্থ ছিলেন। এরপর মস্তিষ্কে পানি জমায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত দিতিকে দ্বিতীয়বারের মতো চেন্নাইয়ে নেওয়া হয়। ৩ নভেম্বর আবারও তাঁর মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার হয়।
অসুস্থ হওয়ার আগে দিতি দুটি নতুন ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছিলেন। একটি ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ এবং অন্যটি ‘মেঘে ঢাকা শহর’। পাশাপাশি তিনি বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘রাজা বাবু’ ছবির কাজও করছিলেন।