দেহ বিক্রির অভিযোগে হায়দরাবাদের একটি অভিজাত হোটেল থেকে শ্বেতা বসু প্রসাদ নামে এক বাঙালি নায়িকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে দেহ বিক্রি করত শ্বেতা। অভিনয়ের আড়ালে এটাই ছিল তার অন্যতম পেশা।
জানা যায়, ১১ বছর বয়সে হিন্দি ‘মাকড়ি’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করে সে। এই অভিনয়ের সুবাদে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিল। এরপর ‘ইকবাল’ ও ‘ডরনা জরুরি হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে স্বীকৃতিও পেয়েছিল। বাঙালি এই অভিনেত্রী এক সময় মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘এক নদীর গল্প’ নামের বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছিল। তবে একসময় তেলেগু ছবিতে অভিনয়ের ডাক পেয়ে পাড়ি দেয় হায়দরাবাদে। তারপর থেকেই তেলেগু ছবির লাস্যময়ী অভিনেত্রী হিসেবে শ্বেতার নতুন জীবন শুরু।
তবে কবে থেকে তিনি দেহ ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়েন সে সম্পর্কে তার পরিবারের কেউ কোনও আলোকপাত করতে পারে নি। পুলিশ জানায়, এর আগেও দেহ ব্যবসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে শ্বেতাকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তবে প্রমাণের অভাবে সে ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল। এবার অবশ্য পুলিশ অনেক আঠঘাট বেঁধে তাকে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, পুলিশ খদ্দের সেজে দালাল বালু নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্বেতার কথা জানতে পারে। যুবতী অভিনেত্রীর যৌনসঙ্গ পেতে হলে খরচ করতে হবে মোটা অঙ্কের অর্থ। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শ্বেতা নিজের দেহ বিক্রির জন্য ৫ লাখ রুপি দাবি করেছেন। এর মধ্যে এক লাখ রুপি অগ্রিম নিয়েছিল। এবার পুলিশ খদ্দের সেজে হোটেলের ঘরে অপেক্ষা করছিল। ঠিক সময়ে শ্বেতা এসে হোটেলের ঘরে ঢোকা মাত্রই পুলিশ তাকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দালাল বালুতেও। গত মঙ্গলবার শ্বেতাকে হায়দরাবাদের একটি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে সরকারি হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।