ঢাকা: মিডিয়া পাড়ায় কালিকলমের কর্মীরা যখন সপ্তাহজুড়ে স্বস্তিকার সমালোচনায় দিব্যি ব্যস্ত।হয়তো এখনো অনেকের অজানা রয়ে গেছে ঘটনাটা। নায়িকার নগ্নতা বলে কথা । বাজারে বেশ সরগরম করবে আইটেমটি। টিনএজ থেকে শুরু করে বুড়োরাও চোখ রাখতে ভুল করবেনা। খামুশ হয়ে অনেকে বলবেন একি বাংলা ছবির স্বস্তিকা একেবারে বস্ত্রহীন, না এ বিশ্বাস করা যায় না। কিন্তু না করে আর উপায় আছে কি? যখন স্বস্তিকা নিজেই হলফ করে বলছেন হ্যাঁ আমি নিজেই বক্ষ উম্মোচন করেছি। হায় ! হায় ! এই বুঝি জাত গেল বাঙালি মেয়েদের । এমন ভাবনা আপনার মাঝে এলেও সস্তিকার কিছু আসে যায় না।বরং নিজের ক্যারিয়ারের মঙ্গলের জন্য ইতিবাচক কিছু করেছেন ভেবে খোশ মেজোজে আছেন তেত্রিশ বছর বয়সি আবেদনময়ী অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি।
ফলাও করে পত্রিকায় পাতায় স্বস্তিকার নগ্ন শুটিং এর তীব্র সমালোচনাকে চোখ রাঙ্গিয়েছেন তিনি। মিডিয়ায়র মুখোমুখি হয়ে বলেন আমরা হলিউডের ছবিতে নগ্ন দৃশ্য খুব আরাম করে উপভোগ করি।কাহিনীর প্রয়োজনে তারা দৃশ্য সাজিয়ে আমাদের বিমোহিত করে তুলে আমরা বহবা দেই।কিন্তু দেশীয় মুভিতে তেমন বাস্তবতার ছায়া আকঁতে গেলেই যেন সবার সুতোঁতে টান লাগে।না আমি আর এই মানসিকতার শৃংখলে আবদ্ধ থাকতে চাইনা।আমাদের ছবিও বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে হাটঁতে শিখুক।বাহবা কুড়িয়ে বিশ্ব জয় করুক।আর টেক ওয়ান তেমনি একটি প্রয়াস। মৈনাক ভৌমিক বরাবরই সৃজনশীলতার ছোঁয়া নিয়ে কাজ করেন ।
তিনি অত্যন্ত বাস্তব সম্মত একটি কাহিনী নিয়ে আমার কাছে এসেছেন ।আমি ছবিটির কাহিনী দেখে রাজি হয়েছি।এখানে নগ্নতা বড় কিছু নয় ছবির কাহিনীকে দাড় করাতে গিয়ে এমন দৃশ্যে দৃশ্যায়ন হতে কার্পন্যতা করিনি।সব কিছু খ্যাতির জন্য নয়।বরং আমি মনে করি জাত অভিনেত্রীর বৈশিষ্ট্য এমনটাই হওয়া উচিত।তাই নিন্দুকদের বলছি বিদেশী ছবির সাফাই গাওয়া বন্ধ করে নিজেরটা নিয়ে ভাবুন।এখনই এগিয়ে যাওয়ার সময়।
জানা যায়,প্রথম বারের মতো হলেও সাবলীল ছিলেন স্বস্তিকা।শরীরের সামনের অংশ তিনি নির্দ্বিধায় উন্মোচন করেছেন ক্যামেরার সামনে। দৃশ্যটি ধারণ করার সময় পরিচালক মৈনাক, ক্যামেরাম্যান আর চারজন টেকনেশিয়য়ান ছিলেন। ছবিটি আগামী এপ্রিলেই মুক্তি পাবে।