ভারতের মুম্বাইয়ের এক নর্দমায় দেশটির ভাস্কর ও শিল্পী হেমা উপাধ্যায় এবং তাঁর আইনজীবী হরিশ ভমবানির বাক্সবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুইদিন আগে থেকে হেমা ও তাঁর আইনজীবী নিখোঁজ ছিলেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গতকাল লাশ দুটি পাওয়ার পর আজ রোববার তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার রাত থেকেই দুইজন নিখোঁজ ছিলেন। এজন্য দুই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় আলাদা সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছিল।
এরপর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মুম্বাই শহরের কান্দিভালি এলাকার একটি নর্দমায় দুটি বাক্স থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারের সময় দুজনের শরীরে অন্তর্বাস ছাড়া অন্য কোনো পোশাক ছিল না।
এরপর আজ রোববার বিকেলে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় মৃতদেহ দুটি হেমা ও তাঁর আইনজীবী হর্ষের। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, স্বামী চিত্রশিল্পী চিন্তন উপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নির্যাতন অত্যাচারের মামলা করেছিলেন ৪৩ বছর বয়সী হেমা। চিন্তনের বিরুদ্ধে হেমা অভিযোগ করেছিলেন, জুহুতে তাঁদের ফ্ল্যাটে অশ্লীল ছবি আঁকছেন, মানসিকভাবে অত্যাচার করছেন তাঁর স্বামী। আর ওই মামলায় তাঁর পক্ষে আদালতে লড়েছিলেন হরিশ।
হেমা উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বৃত্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া পেয়েছেন জাতীয় ললিত কলা একাডেমি এবং গুজরাটের ললিত কলা একাডেমির বার্ষিক পুরস্কার।