রি [ads1]সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত অনুরাগ কাশ্যপের নতুন ছবি ‘রমন রাঘব টু পয়েন্ট জিরো’ শুক্রবার ২৪ জুন মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ষাটের দশকের সিয়াল কিলার রমন রাঘবের জীবনই ফুটে উঠবে পর্দায়। কে এই রমন রাখব?
কেন এত বিধ্বংসী রমন? নিরপরাধ ৪১ প্রাণ কেন সে কেড়ে নিয়েছিল? ছবি মুক্তির আগে জেনে নেয়া যাক আসল রমন রাঘব কে ছিল?
কোনো আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন নয়, নয় কোনো গ্যাংস্টার। রমন রাঘব ছিল একজন মনোরোগী। যার মাথায় ভর করেছিল শুধুমাত্র খুন। যার জন্য সে কেড়ে নিয়েছিল ৪১টি প্রাণ। ১৯১৯-এ পুনায় জন্ম রমনের। ছোটবেলা থেকে কোনো রোগ ছিল না তার। তবে চুরি করার বদঅভ্যাস ছিল। যার কারণে পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি। ষাটের দশকের মুম্বাই ছিল রমনের শিকার। শুধুমাত্র ঝুপড়িবাসী আর ফুটপাথবাসীরাই ছিল রমনের টার্গেট।
তার খুন করার ধরন ছিল আলাদা। ধারহীন লোহার রডের মতো অস্ত্রের সাহায্যে ঘুমন্ত লোকের মাথায় বার বার আঘাত করে খুন করতে পছন্দ করতো রমন। মহিলাদের ক্ষেত্রে ধর্ষণ করে খুন করত। এই ধরনের চরিত্র করতে নওয়াজঊদ্দিন সিদ্দিকি কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন?[ads1]
এ রকম বেশ কিছু খুনের ঘটনার পর রাতে খুন করে এমন লোকের সন্ধান শুরু করে পুলিশ। কৃতিকা নামের এক আহত মহিলার বয়ানের ভিত্তিতেই শুরু হয় খোঁজ করা। ১৯৬৮-তে সিআইডি, ডেপুটি কমিশনার রমাকান্ত কুলকার্নির ধরপাকড়ে রমনকে ধরা সম্ভব হয়।
পুলিশের কাছে প্রথমে রমন মুখই খোলেননি। অনেক প্রশ্নের পর সে আর্জি জানায় পুলিশের কাছে। তার পাওনা ছিল সুস্বাদু চিকেনের ডিশ, মাথায় মাখার তেল, চিরুনি আর আয়না। মনোবাঞ্ছা পূরণের পর ২৩টি খুনের কথা স্বীকার করে নেয় রমন। নিজে মুখেই বলে কিভাবে খুন করত সে। বাকিগুলো তার মনেই পরেনি। তিন মনোবিজ্ঞানীর টিম রমনকে মানসিক রোগী বলে ঘোষণা করে। স্কিত্জোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ছিল সে। আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় তাকে। ১৯৯৫-এ কিডনির সমস্যায় মারা যায় রমন রাঘব।
রমন রাঘবকে নিয়ে ছবি হলেও আসল রমনকে কি পর্দায় তুলে ধরতে পেরেছেন নওয়াজ? তা দেখার জন্য ২৪শে জুন পর্যন্ত অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে।[ads2]
Prev Post
Next Post