গত এপ্রিলে তিনিই ছিলেন বলিউডের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। দিনপ্রতি যার পারিশ্রমিক ছিল প্রায় ৫-৭ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমানে তিনি রয়েছেন ব্র্যান্ডশূন্য। এটাই তার বলিউড ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো শূন্য থাকা। সম্ভবত তিনিই বলিউডের প্রথম খান, যার এ অবস্থা। তিনি আমির খান।
আমিরের ঘনিষ্ঠ দু’জন জানিয়েছেন, এ অভিনেতা বেছে বেছে কাজ করেন। তিনি একই সাথে একাধিক কাজ করেন না। এখনো কিছু ব্র্যান্ডের সাথে তার আলোচনা চলছে।
সর্বশেষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান স্ন্যাপডিলের সাথে তার চুক্তি ছিল। কিন্তু তারা আর এ চুক্তি রিনিউ করতে চাচ্ছেন না।
বিজ্ঞাপন ও বিপনন কর্মকর্তারা বলছেন, এ অবস্থার পিছনে কারণ তার গত নভেম্বরের অসহিষ্ণুতা নিয়ে মন্তব্য।
ওই মন্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ভারতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। যে কারণে তার স্ত্রী আর ভারতে নিরাপত্তা বোধ করছেন না। এ মন্তব্যের জের ধরে তাকে প্রচুর চাপের মুখোমুখি হতে হয়। এমনকি তিনি সরকারি প্রচারাভিযান ‘ইনক্রেডিবল ইনডিয়া’ থেকেও বাদ পড়েন।
তার ওই মন্তব্যের পর থেকেই স্ন্যাপডিল খান নিয়ে তৈরি বিভিন্ন প্রচারণা বন্ধ করে দেয়। আমিরকে নিয়ে তৈরি তাদের ‘দিল কি ডিল’ প্রচারিত হতো প্রিন্ট, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমে।
অবশ্য আমিরের ঘনিষ্ঠ একজন স্ন্যাপডিলের সাথে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করেন এবং বলেন গত নভেম্বরের মন্তব্যের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, স্ন্যাপডিলের হয়ে আমির গুদরেজ গ্রুপের অ্যাম্বাসাডর হয়েছিলেন। এ চুক্তি ছিল এক বছরের।
আমিরের ঘনিষ্ঠ অন্য আরেকজন জানান, আমিরের টিভি টকশো’ ‘সত্যমেভ জয়তো’ প্রচারের আগে তিনি সব বিজ্ঞাপনি প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছিলেন যে, তিনি আছেন এমন বিজ্ঞাপনগুলো অন্তত তিন মাস প্রচার বন্ধ রাখতে। সামাজিক প্রয়োজনের একটি অনুষ্ঠান প্রচারের সময় তিনি কোনো বিজ্ঞাপনি প্রচারণায় থাকতে চাননি।
অন্য খানদের ব্র্যান্ড চুক্তির মধ্যে আছে-
শাহরুখ খান : রিলায়েন্স জিও, বিগবাসকেট, নেরোলাক, ডিস টিভি, ইয়াপমি ও ডি-ডেকর।
সালমান খান : বিইং হিউম্যান (মানধানা ইন্ডাস্ট্রিজ), পিএন গাদজিল জুয়েলার্স।
ইরফান খান : জলো, ইনডিয়ামার্ট, চিট টায়ার্স, এনভি ডিউডোরেন্টস, সিসকা এলইডি।
সাইফ আলী খান : স্যানসুই, পানবাহার, হেড অ্যান্ড সোল্ডার, আমুল মাচো, স্পুনক ফুটওয়্যার।
সূত্র : টাইমস অব ইনডিয়া