আবেদনময়ী! আকষর্ণীয়া! অ্যাঞ্জেলিনা জোলির পর ক্যাটরিনা।
জাতীয় স্তরের প্রথম সারির সমীক্ষায় আবেদনময়ী নায়িকার তালিকায় সকলকে পিছনে ফেলে শীর্ষে ক্যাটরিনা। বলিউডের অন্য কোনো অভিনেত্রী নয়। প্রিয়াঙ্কা, সোনাক্ষী, দীপিকা, করিনা নয়, শুধুমাত্র ক্যাটরিনা। এ বছর এ দেশের প্রথম সারির একটি সংবাদপত্র তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্তরে একটি সমীক্ষা চালায়। বিশ্বজুড়ে নায়িকাদের সৌন্দর্য, আবেদনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে চালানো সেই সমীক্ষার l ফল গিয়েছে ক্যাটরিনার অনুকূলে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে তরুণ প্রজন্মের প্রথম পছন্দ ক্যাটরিনা। তবে, এমন সম্মান এই প্রথম যে ক্যাটরিনা পেলেন তা নয়। গত বছরও ক্যাটরিনা এশিয়ার সেরা ৫০ জন আবেদনময়ী নায়িকার তালিকায় শীর্ষস্হান অধিকার করেছিলেন। সেই সম্মানের পাশাপাশি তাঁর মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক।
ক্যাটরিনার হাতে ছবি বলতে ‘ব্যাং ব্যাং’। অ্যাকশন থ্রিলার ছবির পরিচালক সিার্থ আনন্দ। প্রযোজনা ফক্স স্টার স্টুডিও। হলিউড ছবি ‘নাইট অ্যান্ড ডে’-এর রিমেক ‘ব্যাং ব্যাং’। বিপরীতে নায়ক হৃতিক রোশন। হলিউড ছবি ‘নাইট অ্যান্ড ডে’-র মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন টম ত্রুজ, ক্যামেরন ডিয়াজ। ছবি মুক্তির সম্ভাব্য দিন এ বছরের অক্টোবরে। তার আগেই সেরা আবেদনময়ীর সম্মান। সময়টা সত্যিই ভালো যাচ্ছে ক্যাটের।
যেভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে কেটঃ
টানা চার বছর ধরে বিশ্বের সেরা যৌন আবেদনময়ী নারীর খেতাবটা ধরে রেখেছেন ধুমগার্ল’খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। শুধু কি তাই এশিয়ার সেরা আবেদনময়ী নারীও তিনি। সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদপত্রের জরিপে সেরা আবেদনময়ী নারীর খেতাবটি পেলেন এ বলিউড তারকা।
চলতি বছরে পত্রিকাটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্তরে একটি জরিপ পরিচালনা করে। বিশ্বজুড়ে নায়িকাদের সৌন্দর্য, আবেদনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে চালানো সেই জরিপে দেখা যায় ক্যাটরিনাই এগিয়ে আছেন। এর আগে ইস্টার্ণ আই সাময়িকীর পাঠকদের ভোটে বিশ্বে সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী এশীয় নারী হিসেবে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত পরপর তিন বছর চিহ্নিত হয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৪ বছর বয়সে জুয়েলারীর বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হন ক্যাটরিনা। মডেলস্ ওয়ান এজেন্সী’র সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে লন্ডনে মডেলিং কার্যক্রম চালিয়ে যান। এছাড়াও তিনি লন্ডন ফ্যাশন উইকে কাজ করেছেন।
লন্ডনভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা কাঈজাদ গুস্তাদ লন্ডনে মডেলিং কাজে নিয়োজিত কাইফকে চলচ্চিত্রের রূপালী পর্দায় নিয়ে আসেন। ২০০৩ সালে বুম ছবিতে কাইফকে তিনি অংশগ্রহণের সুযোগ দেন। ২০০৫ সালে সরকার ছবিতে প্রাথমিক সাফল্য পান। ছবিতে অভিষেক বচ্চনের গার্লফ্রে- বা মেয়েবন্ধুর ভূমিকা নেন কাইফ। ঐ বছরেই ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া ছবিতে সালমান খানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। এর পর থেকে একের পর এক ছবিতে নৈপুন্য অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন এ তারকা।