জাকিয়া বারী মম একজন টিভি অভিনেত্রি। এখন নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। শুরুটা হয়েছিল ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতা দিয়ে। এরপর অভিনয় শিল্পী হিসেবে পেয়েছেন প্রতিষ্ঠা, জনপ্রিয়তা। ছোটবেলা থেকেই অনেক ভালো নাচতে পারেন তিনি। সেই সাথে জীবনে নাচিয়েছেন অনেক পুরুষকে! মূলত তার তৃতীয় বিয়ের খবর যোগাড় করতে গিয়েই কেঁচো খুঁড়তে বের হয়ে আসে সাপ। মমর প্রেম জীবনে বেশ উত্থান-পতন হয়। অবনতিটা হচ্ছে এরকম- মম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তারই সহপাঠী মাসুদের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এক বছরের মাথায় বিয়েও করেন। পরিবারের অলক্ষে ওই বিয়ে সম্পন্ন হয় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সংসার এক বছরের মাথায় ভেঙেও যায়।
কারণ, মম ততদিনে মাসুদের সংসারের চেয়ে গ্ল্যামার দুনিয়ার প্রতি একটু বেশিই ঝুঁকে পড়েন। এরপরই লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার ও দারুচিনি দ্বীপ-এর নায়িকা নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাটি রাতারাতি তারকা খ্যাতি এনে দেয় মমকে। এরপর তার সম্পর্ক শুরু হয় নাট্য পরিচালক এজাজ মুন্নার সাথে।
মমর সঙ্গে এজাজ মুন্নার পরিচয় অন্তত আরও ৭/৮ বছর আগে থেকে। তখন মমর পরিচয় ছিল শুধু নৃত্যশিল্পী হিসেবে। তখন থেকেই মমর নৃত্যপ্রতিভা ও রূপের মায়ায় ক্রমশ ডুবতে থাকেন মুন্না। এর ফাঁকেই তাজিন আহমেদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রেম-বিয়ে ও ভাঙনের মুখে পড়েন প্রেমিক মুন্না। তালি বাজানোর জন্য একে একে মিলে যায় দুই হাত। কিন্তু নিজেকে খুব বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি মম। খুব দ্রুতই তার আসল চরিত্র প্রকাশিত হতে শুরু করে নাট্যকার শিহাব শাহিনের সাথে অবৈধ সম্পর্কের মাধ্যমে। শুরু হয় কলহ। আলাদা থাকতে শুরু করেন মুন্না এবং মম। একসময় ছাড়াছাড়িও হয়ে যায় দুজনের মধ্যে। এমনকি প্রেম ও দাম্পত্যের টানাপোড়নের চাপ সামলাতে পেরেই আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন অভিনেত্রী মম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মমর কিছু ঘনিষ্ঠজন জানান, দু’দিকের চাপ সামলাতে না পেরে মম আত্মহত্যাকেই সমাধান মনে করেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিহাব শাহিনই অভিনেত্রী মমকে হাপাতালে ভর্তি করান।
মমর সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্কের বিষয়টি সবসময় গুজব বলে উড়িয়ে দিতেন শিহাব শাহিন। কিন্তু পরিচালক শিহাব শাহীনকে বিয়ে করে অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম সেই গুজবের সত্যতা প্রমান করেন, তবে তিনি খুব গোপনেই বিয়ের কাজটা সেরেছিলেন ২০১৩ সালে। আর বিয়ের খবরটি তারা যতটা সম্ভব গোপন রেখেছেন। কারণ শিহাব শাহীনেরও আগের স্ত্রী আছেন। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের বাইরে থাকেন।
জানা গেছে মমো এখন মগবাজারে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। আর তার একমাত্র ছেলে সাবেক স্বামী এজাজ মুন্নার কাছেই থাকেন।