যে কারণে বলিউডকেও চমকে দিয়েছে ‘রাজকাহিনী’

0

Raj Kahiniমুম্বাইয়ে বিশেষ প্রদর্শনী শেষে পূজা ভাট, ইমতিয়াজ আলী, বিদ্যা বালানের মতো মহারথীরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ ‘রাজকাহিনী’ সিনেমাটি।

ভারতীয় বাংলা দৈনিক এই সময়কে অভিনেত্রী ও নির্মাতা পূজা ভাট বলেন, ‘গতকাল রাতে সিনেমাটা দেখেছি। সারারাত ঘুমোতে পারিনি’। কে জানে কেন, ছবিটা ক্রমশ মাথার মধ্যে চেপে বসছে!

ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের নিরিখে ‘বাজরঙ্গি ভাইজান’ যদি এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ছবি হয়, তা হলে সেই নিরিখে ‘রাজকাহিনী’ও অবশ্যই দেখতে হবে। আঞ্চলিক, নির্দিষ্ট ধারার দর্শকদের জন্য- এরকম কোনো শব্দ আমি ‘রাজকাহিনী’র সঙ্গে জুড়তে পারছি না। ‘রাজকাহিনী’ ভারতীয় সিনেমা।

তিনি আরও বলেন, ‘এই ছবি যে বাজেটে তৈরি তা দেখে চমকে গিয়েছি। কখনোই মনে হয়নি বাজেটের জন্য ছবি তৈরিতে কোথাও কোনোভাবে কম্প্রোমাইজ করা হয়েছে’! অভিনেতাদের দুর্দান্ত অভিনয় ছবিটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। এই ছবি দেখে বলিউডের কিছু প্রযোজক শিখতে পারেন, কিভাবে অল্প সামর্থ্যের মধ্যে দিয়েই মনে রাখার মতো একটা ছবি তৈরি করা যায়।

‘খামোশ’, ‘চামেলি’ খ্যাত চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক সুধীর মিশ্র বলেন, ‘রাজকাহিনী’র প্রভাব অন্য মাত্রায়’। ছবির যে বক্তব্য, সেটা আমি এখনই বলে দিতে চাই না, দর্শক সিনেমাহলে গিয়ে জানলেই ভালো, কিন্তু এটুকু বলবো, সেই বক্তব্য উপলব্ধি করার পরই ভেতরে-ভেতরে একটা ছটফটানি হতে পারে।

‘যাব উই মেট’ খ্যাত পরিচালক ইমতিয়াজ আলি বলছেন, ‘দেশভাগ, ভারত-পাকিস্তান হওয়ার ঘটনাটা আমাদের দেশের ইতিহাসের একটা উচ্চকিত অধ্যায়’। ‘রাজকাহিনী’ উচ্চস্বরে সেই উচ্চকিত অধ্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশভাগ নিয়ে তৎকালীন দ্বিচারিতার মোটেও বাহক হয়নি ‘রাজকাহিনী’, বরং, নির্ভীকচিত্তে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

এমন একটা দৃঢ় ছবি, যা আমাকে ভাবিয়েছে। এই কাহিনিটা মানুষের শোনা দরকার, তাই আমি চাইবো মানুষ ছবিটা দেখুন। সৃজিতকে ধন্যবাদ, ‘রাজকাহিনী’ তৈরির জন্য। অভিনেত্রীদের কাজ অসাধারণ, এটা আলাদা উল্লেখের দাবি রাখে।

‘ডার্টি পিকচার’ খ্যাত অভিনেত্রী বিদ্যা বালান বলেন, ‘আমি ‘রাজকাহিনী’ দেখে চমকে গিয়েছি’। খুবই শক্তিশালী এবং অনন্য একটা ছবি। কারণ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়, যখন একটা ছবি সম্পর্কে মাথার মধ্যে ভাবনা আসতে থাকে, তখন সেই ছবিকে ঠিক হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারি না। আবার যখন একটা ছবি হৃদয় ছুঁয়ে যায়, তখন মাথার মধ্যে ভাবনা চিন্তা বন্ধ হয়ে যায়! কিন্তু ‘রাজকাহিনী’ দেখার সময় দুরকমই হল।

‘রাজকাহিনী’ নির্মাণের সময় থেকেই সিনেমাটি বেশ সরব ছিল ভাট পরিবার, বিশেষ করে মহেশ ভাট। প্রথম থেকেই তিনি ক্রমাগত টুইট করেছেন সিনেমাটির বিভিন্ন বিষয়ে। এর মধ্যে বেশ কয়েকবারই সিনেমাটিকে ‘এই সময়ের জন্য সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত সিনেমা’ বলে অভিহিত করেছেন।

এদিকে ভিশেষ ফিল্মসের আরেক কর্ণধার মুকেশ ভাট সিনেমাটি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছেন। এমনকি সৃজিতকে পরিচালক করেই সিনেমাটি হিন্দি ভাষার রিমেইকের ঘোষনাও দিয়েছেন তারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More