আমোদ ডেস্ক : মানুষের জীবনের একটি জৈবিক ও তৃপ্তিকর চাহিদা হলো যৌনতা। এই জৈবিক চাহিদার ওপর অনেকেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আবার অনেকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পেশাগত, সামাজিক ও সাংসারিক জীবনে অশান্তির বীজ বপন করে দিয়েছেন। যদি কোনো সেলিব্রেটির ব্যক্তিত্ব এমন হয় যে তিনি যৌনতাবিহীন জীবন ভাবতেই পারেন না, তাহলে তা মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পায়। জনপ্রিয় তারকাদের অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবন যেমন মানুষের মুখে মুখে গসিপের জন্ম দেয়, তেমনি যৌন আকাঙ্ক্ষার প্রতি অতিমাত্রার আকর্ষণের পরিণাম বিষয়ে শিক্ষাও দেয়। এখানে দেখুন এমনই কয়েকজন মহাতারকা যারা যৌনতা ছাড়া এ জীবনটাকে ভাবতেই পারেন না।
১. মাইকেল ডগলাস :
হলিউডের এই তারকা অভিনেতা ও পরিচালক যৌনতায় বেজায় আকৃষ্টদের মধ্যে অন্যতম। যৌন আকাঙ্ক্ষা এতটাই বেশি যে ১৯৯০ সালে তাকে এ জন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি বলেন যে তার যৌনতাবিষয়ক চিকিৎসকের যাবতীয় রিপোর্ট সঠিক নয়। সম্প্রতি তিনি গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত যার কারণ হিসেবে এক নারীর সঙ্গে ওরাল সেক্স করাকে দায়ী করেছেন নিজেই। ক্যাথরিন জেটা জোনসের স্বামী তিনি। ‘ব্যাসিক ইন্সটিংক্ট’ এবং ‘ফাটাল অ্যাট্রাকশন’ এর মতো যৌনতাপূর্ণ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
২. রণবীর সিং :
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি বেশ খোলামেলা কথা বলায় আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন এই বলিউড তারকা। সেক্সের প্রতি দারুণ আসক্ত তিনি এবং ‘রাম-লীলা’ ছবির পর নিজেই স্বীকার করেছেন যে, যৌনতা তার জীবনের অপরিহার্য অংশ। নিরাপদ সেক্স বিষয়ে কাজ করছেন তিনি এবং একটি কনডমের বিজ্ঞাপনেরও কাজে রয়েছেন।
৩. ড্যানিয়েল ক্রেগ :
বর্তমানের মিস্টার জেমস বন্ড আছেন এই তালিকায়। বর্তমানে অভিনেত্রী র্যাচেল ওয়েজকে বিয়ে করে স্ক্যান্ডালমুক্ত জীবনযাপন করলেও একটা সময় ছিলো যখন তিনি যৌনতায় প্রতি দারুণ আকৃষ্ট ছিলেন। সম্প্রতি ৪৪ বছরের এই ব্রিটিশ অভিনেতা বলেন, একজন টিনএজারকে দেখলে তিনি তার সঙ্গে সেক্স করা ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারেন না। চেহারা, ব্যক্তিত্ব ও দৈহিক সৌষ্ঠবে এই জেমস বন্ডকে দেখলে বোঝাই যায়, এ কাজে কাউকে রাজি করতে বেশি কিছু করতে হয়নি তাকে।
৪. চার্লি শিন :
এই হলিউড তারকার যৌন আসক্তির কথা সবাই জানেন ১৯৯৪ সালে হেইডি ফ্লিস নামের এক নারীর সঙ্গে মামলা চলাকালে। নিজের যৌন আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য ওই মহিলাকে ৫৩ হাজার ডলার পরিশোধ করেন। তা ছাড়া নিয়মিত পতিতালয় এবং স্ট্রিপটিজে যাওয়ার নেশা ছিলো তার।
৫. ডেভিড ডকোভনি :
দ্য এক্স ফাইলস খ্যাত এই তারকা যৌনতায় আবিষ্ট টিভি সিরিজ ‘ক্যালিফোর্নিকেশন’ এ অভিনয় করেছেন। স্ত্রী টি লিয়োনির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে সেক্স রিহ্যাবিলাইটেশন সেন্টারে ভর্তি হওয়ার পর তার যৌনতার প্রতি তীব্র আকর্ষণের কথা জানা যায়।
৬. রাসেল ব্র্যান্ড :
কৌতুক অভিনেতা রাসেল ব্র্যান্ডের ভক্তরা অবাক হয়ে যান যখন তিনি যৌন আসক্তি কমানোর জন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে যান। তিনি স্বীকার করেন যে, তার একটি ব্যক্তিগত হারেম ছিলো যেখানো ১০ জন নারী তাকে সঙ্গ দিতেন। পরে তিনি এ বিষয়ে অনুশোচনায় ভুগে সব ভক্ততে তার দিকে ফিরিয়ে আনেন।