হিটম্যান’ আর ‘ক্ষণিকের ভালোবাসা’। শিরিন শিলা অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত দুটি চলচ্চিত্রের নাম। এখন হাতে একাধিক ছবি। এগুলো নিয়েই তার ব্যস্ত সময়। কিন্ত পবিত্র মাস রমজান নিয়ে তার ভাবনা কেমন? তা এখানে তুলে ধরেছেন আলমগীর কবির
‘মুসলিম পরিবারের মেয়ে রোজা তো রাখতেই হবে। যতই অসুবিধা হোক আমি সবগুলো রোজা রাখার চেষ্টা করি।’ রমজান মাস প্রসঙ্গে এভাবেই বলছিলেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা।
গত ঈদে ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘হিটম্যান’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করা এই অভিনেত্রী ছোট বেলা থেকেই ধর্মভীরু। ‘আমাদের পরিবারের সবাই ধর্ম পালনের বিষয়ে খুব সিরিয়াস। এ কারণেই আমাদের ভাই বোনদের পড়াশোনার শুরুটা হয়েছিল মাদরাসায়। আমি নিজেও ক্লাস থ্রি পর্যন্ত মাদরাসায় পড়াশোনা করেছি।’
শিরিন শিলা বলেন, ‘রমজান মাসের আগমন ছোটবেলা থেকেই বেশ উৎসাহব্যঞ্জক হতো আমার জন্য। সমবয়সীরা রোজা রাখা এবং কোরআন খতম নিয়ে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠতাম। টু- থ্রিতে পড়ার সময়ই ১৫টা, ২০টা রোজা রাখা হয়ে যেত। মা বারণ করতেন। মাঝে মাঝে জোর করে খাইয়ে দিতেন। প্রচণ্ড মন খারাপ হতো তখন। কারণ আমি রোজা ভাঙলে অন্যরা রোজার সংখ্যায় আমার চেয়ে এগিয়ে যাবে এই চিন্তা আসতো মাথায়।’
ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় প্রথম পুরো ৩০টি রোজা করেছিলেন। শিলার ভাষায়, ‘ওই রমজানেই আমি প্রথম কোরআন খতম দিয়েছিলাম। এটা আমার জীবনের স্মরণীয় একটি ঘটনা।’
প্রথম রোজার স্মৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথম যেদিন রোজা রেখেছিলাম, ওদিন ভুল করে কিছু একটা খেয়ে ফেলেছিলাম। এ নিয়ে অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম ওইদিন। পরে মা এসে শান্তনা দিয়ে বলেছিল, ‘ভুল করে খেলে রোজা ভাঙে না।’
মায়ের কথা শুনে আমার কান্না থেমে ছিল।