হাফিজ সাঈদ, ছবি : রয়টার্স
বলিউড কিং শাহরুখ খানকে পাকিস্তানে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির একটি কট্টর সংগঠনের নেতা। ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে কথা বলায় শাহরুখকে ‘পাকিস্তানের দালাল’ বলে আখ্যা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জামাত-উদ-দাওয়ার (জেইউডি) প্রধান হাফিজ সাঈদ এই আমন্ত্রণ জানালেন। সাঈদকে মুম্বাই হামলার হোতা বলে মনে করা হয়।
ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা সম্পর্কে গত ৩ নভেম্বর টুইটারে চারটি বার্তা দেন সাঈদ। এগুলোতে তিনি শাহরুখ ও অন্যান্য মুসলিম যাঁরা ভারতে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তাঁদের পাকিস্তানে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতে সংখ্যালঘুরা বিশেষ করে মুসলিমদের বৈষম্যের শিকার হওয়াই প্রমাণ করে মোদির ভারত আর ধর্মনিরপেক্ষ নেই। এটি ফ্যাসিস্ট হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
হাফিজ সাঈদ আরো বলেন, ‘আমরা হিন্দু চরমপন্থীদের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদকে স্বাগত জানাচ্ছি। যদি তাঁরা চান, তাহলে যেকোনো সময় পাকিস্তানে এসে থাকতে পারেন।’
শেষ বার্তাটিতে সাঈদ বলেন, ‘এ ধরনের যেকোনো মুসলিম এমনকি শাহরুখ খান, যিনি মুসলিম হওয়ায় জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তাঁকে পাকিস্তানে থাকার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।’
গত ২ নভেম্বর শাহরুখ খান তাঁর ৫০তম জন্মদিনে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ হ্যাঁ এখানে ধর্মীয় অসিহষ্ণুতা আছে এবং তা বেড়ে চলছে। লোকজন চিন্তা করার আগেই কথা ছুড়ে দিচ্ছে। আমরা নতুন ভারতের কথা বলছি, কিন্তু এই দেশ যদি ধর্মনিরপেক্ষ না হয়, তাহলে তরুণরা তার পক্ষে দাঁড়াবে না।’
এর সঙ্গে শাহরুখ ভারতে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদ জানিয়ে লেখক, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকারদের মতো রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এর পর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বার্গিয়া শাহরুখকে জাতীয়তাবিরোধী হিসেবে আখ্যা দেন এবং হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী তাঁকে মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে তুলনা করেন।