শুরুতে নাচ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন অমৃতা খান। এরপর কাজ শুরু করেন বিজ্ঞাপনচিত্রে। এখন চলচ্চিত্রেও কাজ করছেন। প্রথম চলচ্চিত্র ‘গেইম’-এর শুটিং শুরু করেন ২০১৩ সালে। তখনই জানতে পারেন, ‘গেইম’ ছবিটি মুক্তির পর এ ছবির সিক্যুয়েল নির্মিত হবে। এই মুহূর্তে অমৃতা কাজ করছেন রায়হান মুজিব পরিচালিত ‘ময়না পাখির সংসার’ ছবিতে। ‘গেইম’ ছবির সিক্যুয়েলের শুটিং শুরু হলেও ছবি থেকে তিনি বাদ পড়েছেন—এমন খবরে বেশ চটেছেন অমৃতা। ব্যাপারটি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন তিনি। পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো অমৃতার কথাগুলো।
আপনাকে ‘গেইম’ ছবির সিক্যুয়েল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে?
কে বলল এ কথা? আমাকে বাদ দিয়েছে! আমার সঙ্গে কথা না বলেই?
এ ছবির পরিচালকই তো বলেছেন…
বাদ দেওয়ারও কিছু নাই, নেওয়ারও কিছু নাই। ‘গেইম’ একটা ফ্লপ ছবি, শুরু থেকেই আমি সেটা বলে আসছি। যে ছবির প্রযোজক ও পরিচালক নায়কের ইশারায় চলেন, সেই ছবির ভবিষ্যৎ যা হওয়ার তাই-ই হয়েছে। আমিও শুনছি, আমাকে নাকি ছবিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এটা পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারও বলতে পারেন। আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য এমন কাজ করা হচ্ছে।
আপনার সম্মান নষ্ট করছে বলে মনে করছেন কেন?
ছবির শুটিংয়ের সময় থেকেই আমি এই দলটিকে নিয়ে বিরক্ত ছিলাম। এই পরিচালকের কাজ নিয়েও আমার সন্দেহ ছিল। আর নায়ক নিরব! তিনি তো অভিনয়ই জানেন না। কাজ শুরুর পরপরই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিই, এই পরিচালকের সঙ্গে আর কাজ করব না। ফলে ছবির সিক্যুয়েল হলেও তাতে কাজ করার প্রশ্নই ওঠে না। এদিকে অনেক দিন পর গুণী পরিচালক রায়হান মুজিবের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। ভালো একটা ছবিতে কাজ শুরু করেছি বলেও এমনটা করা হতে পারে।
কিন্তু নিরবের সঙ্গে আপনি তো কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন…
তাঁর সঙ্গে আমার যে কয়েকটি ছবি হয়েছে, কোনোটিই আমার জন্য সুখবর বয়ে আনতে পারেনি। ‘গেইম’ ছবির শেষ দৃশ্য গোঁজামিল দিয়ে মিলিয়ে দেওয়া হয়। ছবিটি দেখার পর সবাই টের পেয়েছেন সেটি। এ কাজটিও করা হয়েছে নিরবের ইন্ধনে। অন্যান্য ছবিতে যে নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছি, সেসব কাজ নিয়ে আমি মোটামুটি সন্তুষ্ট।
এ পর্যন্ত কতগুলো ছবিতে অভিনয় করেছেন?
চলচ্চিত্রে আমার বয়স মাত্র তিন বছর। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ছবিতে আর কাজ করব না। কিছুদিনের জন্য দেশের বাইরে চলে গিয়েছিলাম। তার পরও এই অল্প সময়ে সাতটি ছবিতে অভিনয় করেছি, তিনটি মুক্তি পেয়েছে। আমার কাজ করা ছবিগুলো হচ্ছে—রায়হান মুজিবের ‘ময়না পাখির সংসার’, ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘পাগলা-দিওয়ানা’, ইস্পাহানি আরিফ জাহানের ‘গুন্ডা দ্য টেররিস্ট’, রাজু আহমেদের ‘অসম প্রেম’, আতিক জামানের ‘অন্তরে অন্তরে’, রয়েল-অনিকের ‘গেইম’ এবং সাইফ চন্দনের ‘টার্গেট’।