ছোটবেলা থেকেই রীতিমতো মোটা ছিলেন তিনি। স্কুলের উঁচু ক্লাসে উঠতে না উঠতেই কেলির ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ১০৮ কেজিতে। অতিরিক্ত এই স্থুলতা একসময় তার আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরাতে শুরু করে। কেলি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারণে স্কুলে পড়ার সময়ে কেউ তার সঙ্গে বন্ধুত্বও করতে চাইত না। ‘মটু’ বলে কেলিকে ক্ষ্যাপাত সহপাঠীরা। সে যেন সবার ইয়ার্কি-ঠাট্টার পাত্রী হয়ে গিয়েছিল।
আর এই উপলব্ধি থেকেই কেলি ক্রিফকো এক সময় ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে শুরুতেই সবকিছু খাওয়া ছেড়ে বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে কাটিয়ে বাড়াবাড়ি করেননি তিনি। সবকিছু করেছেন ঠিকঠাক নিয়ম মেনে।
প্রথমে ছেড়েছেন মিষ্টি দেয়া কোমল পানীয়। তারপরে ভাজাভুজি, চিজ, মাখন। রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে সিদ্ধ ব্রকোলি আর চিকেনের প্রিপারেশনই পছন্দ করেন তিনি। এভাবেই প্রথম বছরে ওজন কমে বেশ কিছুটা। পরে সেই ধারাবাহিকতায় চলতে থাকে কেলির দিনযাপন। এভাবে রোজকার রুটিন ঠিকঠাক মেনে চলতে চলতে অবশেষে কেলি তার ওজন ১০৮ কেজি থেকে ৫০ কেজি কমিয়ে হয়ে যান ৫৮ কেজি। তাতেই কেলি হয়ে গেলেন মিস সাউথ টেক্সাস। বর্তমানে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন মিস টেক্সাস প্রতিযোগিতার।
নিয়মিত রুটিন ঠিকঠাক মেনে চললেই যে শরীরের ওজন ৫০ কেজির মতো কমানো যায় সেটাই দেখিয়ে দিলেন কেলি ক্রিফকো।