ঢাকা: ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা অভিনেত্রী মৌসুমী নাগ। অভিনয়ের নেশায় হুট করেই বড় পর্দায়ও নাম লিখিয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে ‘প্রার্থনা’ নামের একটি ছবিও মুক্তি পেয়েছে তার। আসছে ১৬ অক্টোবর শুক্রবার দেশের প্রায় ১০০টির বেশী সিনেমা হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘রানআউট’। এরইমধ্যে ছবিটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশাল কলেবরে, বাণিজ্যিকভাবে ছবিটি নিয়ে মুক্তির বিষয় নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত সদ্য মা হওয়া অভিনেত্রী মৌসুমী নাগ। নিজের অভিনীত তন্ময় তানসেনের নির্মাণে আলোচিত ছবি ‘রানআউট’-এর খুঁটিনাটি বিষয়ে কথা বলেছেন মৌসুমী নাগ, শুনেছেন প্রতিবেদক সাইমুম সাদ।
১৬ অক্টোবর আপনার ‘রানআউট’ মুক্তি পাচ্ছে। কেমন লাগছে?
মৌসুমী নাগ: ভীষণ এক্সাইডেট! আবার ভয়ও লাগছে। কারণ একযোগে ১০০ টি হলে সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে। এতগুলো মানুষ সিনেমাটা দেখবে। দর্শকরা আমোকে কিভাবে নেবে সেটা দেখার জন্যই অপেক্ষা করছি।
মুক্তির দিনে আপনার পরিকল্পনা কি?
মৌসুমী নাগ: আশেপাশের সিনেমা হলগুলো আমি থাকবো। হল ঘুরে ঘুরে সিনেমা দেখবে।
সিনেমাটা আসলে কোণ শ্রেনীর দর্শকদের জন্য?
মৌসুমী নাগ: সিনেমাটা তরুণরাই বেশি পছন্দ করবে।
পোস্টারে লেখা আছে ১৮ +। কেন?
মৌসুমী নাগ: আসলে আমাদের গল্পেটাই এরকম। আমাদের গল্পে অনেকগুলো শেড আছে। ডার্ক সাইট আছে। যেটা হয়তো ১৮ বছর বয়সীদের নিচে না দেখাই ভালো। এই কারণে ডিরেক্টর-প্রডিউসাররা পোস্টারে এমনটা লিখেছেন।
সিনেমাটা নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
মৌসুমী নাগ: অনেক বেশি। এই মুভিটা অন্যরকম। কাজটা অনেক কষ্টে শেষ করেছি। আবার শুটিংয়ে অনেক মজাও করেছি। আমি মনে করি সিনেমাটা দর্শকদের হলে ধরে রাখবে। বোরিং লাগবেনা। কোথাও ঝুলে যায়নি।
সিনেমার মেসেজটা কি?
মৌসুমী নাগ: সমাজের অনেক ছেলে মেয়েরাই অন্ধকার জীবনে পা বাড়ায়। তাদেরকে আমরা ঘৃণা করি। কিন্তু সে কিভাবে, কোন পরিস্থিতিকে অন্ধকারে গেল সেটা আমরা ভাবিনি। বিষয়টা এমনই।
আপনার চরিত্রটা কতোটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
মৌসুমী নাগ: আমার খুব পছন্দের একটা ক্যারেক্টর করেছি। যা আগে কখনোই করিনি। আমি একদিকে মা, প্রেমিকা। সব কিছু মিলিয়ে চ্যালেঞ্জিং। এর জন্য নিজে থেকে বেশ প্রস্তুতি নিয়েছি। এই টাইপের প্রচুর মুভি দেখেছি। শুটিংয়ে তারেক ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। তিনি আমাকে চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলায় অনেক হেল্প করেছেন। সঙ্গে নিজে নিজের মতো করে পরামর্শ নিয়েছে। নিজেও হেল্প করেছেন।
সিনেমায় আপনার কো-আর্টিষ্ট সজল। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাটা কেমন?
মৌসুমী নাগ: ওর সঙ্গে আগেও অনেক নাটকে কাজ করেছি। ও আমার খুব ভালো বন্ধু। সজলের ভালো গুন, নিজের সিকুয়েন্স নিয়েই শুধু ব্যস্ত থাকেনা। পাশাপাশি আমার সঙ্গে শেয়ার করে। শর্টটা এভাবে না, এভাবে করলে ভালো হবে। অথবা এই ড্রেসে আমাকে ভালো লাগছে-এই ব্যাপারগুলো শেয়ার করে। এতে কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। দুজন মিলে রিহার্সেলও করেছি।
বড় পর্দায় কিভাবে নিজেকে এগিয়ে নিতে চান?
মৌসুমী নাগ: কোন প্ল্যানিং করে কাজ করিনা। দুটো সিনেমাও করেছি হুট করেই। এর আগে ‘প্রার্থনা’য় আমার অভিনয়, গেটআপের প্রশংসা পেয়েছি। এবার দেখি রানআউটের রেসপন্সটা কেমন। আমি আসলে নায়িকা না অভিনেত্রী। করার মতো ক্যারেক্টার পেলেই কাজ করবো।
কোন ধরনের সিনেমায় অভিনয়ে আগ্রহ?
মৌসুমী নাগ: এর আগে ‘প্রার্থনা’ করলাম। এবার রানআউট। দুইটা দুই ধরনের সিনেমা। দেখি দর্শকরা কোন ধরনের সিনেমায় আমাকে পছন্দ করে। এটা বলা যায় এক্সপেরিমেন্টাল। তারপর না চিন্তা করা যাবে।
নায়লা নাঈম সম্ভবত সিনেমায় একটা আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন। বাট আইটেম গার্ল হিসেবে পোস্টার জুড়ে তার ছবিটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
মৌসুমী নাগ: এটা নিয়ে আমার কোন রাগ-ক্ষোভ নেই। বরং নায়লাকে পাঁচ মিনিট দেখতে গিয়ে আমাকে আড়াই ঘন্টা দেখলে তো বিষয়টা মন্দ না! বেবি হওয়ায় আমি রানআউটের প্রচারণায় থাকতে পারিনি। সে সময় ওরা খুব সাপোর্ট করেছে।
কি কারণে দর্শকরা রানআউট দেখবে?
মৌসুমী নাগ: ডিরেক্টরের অসাধারণ ডিরেকশন। শর্টে নতুনত্ব আছে। আরেকটা কারণ অনেকদিন পর গানে ফিরল ভাইকিংস। গানগুলো দুর্দান্ত হয়েছে। আর গল্পটা তো একেবারে অন্যরকম।
হলে ‘রানআউট’র প্রতিযোগি হিসেবে শাকিব খানের ‘রাজাবাবু’ চলছে। প্রতিযোগিতা কিভাবে নিচ্ছেন?
মৌসুমী নাগ: শাকিব খান নাম্বার ওয়ান নায়ক। উনার সঙ্গে কম্পিটিশনে যাওয়ার কোন প্রশ্নই আসেনা। আমরা চাই, উনার সিনেমাটার পাশাপাশি ‘রানআউট’-ও হলে চলুক।
এই বছরটা তো বেশ ভালো কাটছে। এই বছরই আপনার পুত্র জন্ম নিল, ‘প্রার্থনা’ মুক্তি পেল। এবার ‘রানআউট’…?
মৌসুমী নাগ: ভালো একটা বছর। তবে এই প্রাপ্তির জন্য এই বছরে কোন কষ্টই করতে হয়নি। সিনেমাগুলো গতবছর করা। এইবছরটায় শুধু ফল পাচ্ছি।