[ads1]লিওনেল মেসি হয়ে ওঠলেন অপ্রতিরোধ্য। নিজে গোল করলেন, অন্যদের দিয়ে গোল করালেন। সেই সুবাধে ভেনেজুয়েলাকে শোচনীয়ভাবে হারিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ওঠে গেল আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থাকা ভেনেজুয়েলাকে কোয়ার্টার-ফাইনালে তেমন প্রতিরোধ গড়তে না দিয়ে ৪-১ গোলে হারায় কোপা আমেরিকার ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেন হিগুয়াইন। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি আর এরিক লামেলার গোলের মাঝে লক্ষ্যভেদ করেন সলোমন রনদন। ফক্সবরোর জিলেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে শুরু হওয়া ম্যাচে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো একাদশে ছিলেন মেসি। দ্বিতীয় মিনিটে বলে প্রথম স্পর্শেই পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার মাতালেন দর্শক। বল নিয়ে কয়েকজন খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে ক্রস করেছিলেন; তবে তা সহজেই বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক এর্নান্দেস। পরের মিনিটে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের বাঁকানো শট যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। তবে মেসির নৈপুণ্যে গোল পেতে দেরি হয়নি। অষ্টম মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের মাথার উপর দিয়ে উঁচিয়ে বল বাড়িয়েছিলেন ডি-বক্সে।[ads2]
হাফভলিতে তা জালে পাঠিয়ে টুর্নামন্টে প্রথম গোল করেন হিগুয়াইন। ২১তম মিনিটে ফিগেরা মেসিকে ডি-বক্সে ট্যকল করলে পেনাল্টির আবেদন জানায় আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। তবে তাতে সাড়া দেননি রেফারি। তবে ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডারদের ভুল বোঝাবুঝিতে ব্যবধান বাড়তে সময় নেয়নি। ভিগেরার ব্যাকপাস ধরে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাকা জাঁলে গোল করেন হিগুয়াইন। জেরার্দো মার্তিনোর প্রথম পছন্দের এই স্ট্রাইকারের এটি ২৯তম আন্তর্জাতিক গোল। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে দমে যায়নি ভেনেজুয়েলা। প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে তো আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগকে তারা রীতিমত নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে। তবে গোল হয়নি গোলরক্ষক সের্হিও রোমেরোর নৈপুণ্যে। ৩৫তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে রনদোনের জোরালো শট নিচু হয়ে ঝাঁপিয়ে ঠেকান রোমেরো। ৩৯তম মিনিটে কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে রনদোনের জোরালো হেডে অবশ্য পরাস্ত হয়েছিলেন রোমেরো। তবে বল লাগে বাঁ পোস্টে। ৪১তম মিনিটে ভেনেজুয়েলাকে আবার গোল বঞ্চিত করেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক। ফ্রাঙ্ক মার্তিনেসের শট একজনের পয়ে লেগে দিক পাল্টে গোলে ঢুকছিল; পেছনের দিকে লাফিয়ে বলে আঙুল ছুঁইয়ে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা সেভটি করেন রোমোরো।[ads1]
দুই মিনিট পর রোমেরো বল বিপদমুক্ত করতে মার্তিনেসের পায়ে ঝাঁপ দিয়ে ফেলে দিলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। কিন্ত পানেলকা শট নিতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেন লুইস মানুয়েল সেইহাস। এই মিডফিল্ডারের চিপ জায়গায় দাঁড়িয়ে কোলে টেনে নিতে কোনো সমস্যাই হয়নি রোমেরোর। ৬০তম মিনিটে নিকোলাস গাইতানের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে গোলরক্ষকের পায়ের নিচ দিয়ে জালে বল পাঠিয়ে টুর্নমেন্টে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন মেসি। ৫৪ নম্বর আন্তর্জাতিক গোল করে তিনি ছুঁলেন দেশের হয়ে গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। ৭০তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে আসা ক্রসে লাফিয়ে উঠে চমৎকার হেডে রেমোরোকে ফাঁকি দেন রনদোন। কিন্তু পরের মিনিটেই গোল করে ভেনেজুয়েলাকে খেলায় ফিরতে দেয়নি আর্জেন্টিনা। মেসির বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন গাইতানের বদলি হিসেবে নামা এরিক লামেলা। হিউস্টনে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে প্রথম সেমি-ফাইনালে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে ২৩ বছর পর বড় কোনো শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা আর্জেন্টিনা। [ads2]