ঢাকা: টি-টোয়েন্টিকে বলা হয় পারফেক্ট অলরাউন্ডার গেম। কেননা সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের খেলায় যে দল যতো বেশি বৈচিত্র্য দেখাতে পারে ম্যাচ জয়ের পাল্লাটা তাদের দিকে ততো বেশি ঝুকে পড়ে। তাই ১৬ মার্চ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর শুরুর আগে বিশ্বের বাঘাবাঘা অলরাউন্ডাররা পাদপ্রদীপের আলোয়। কারা তারা। আসুন এক নজরে দেখে নেই তাদের-
সাকিব আল হাসান:
বাংলাদেশ দলের হৃৎপিন্ড ভাবা হয় সাকিব আল হাসানকে। এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে সাকিবের না থাকা স্বাগতিক বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে। এরপর পাকিস্তান ম্যাচে নিজের ব্যাটের ধার বুঝিয়েছেন সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট শেষে বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেননি তিনি। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া লাগিয়েছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। খেলেছেন ঝড়ো ৫৮ রানের একটি ইনিংস। তাই আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জিয়নকাঠি হতে পারেন সাকিবই। এর জন্য সাকিবকে শুধু ক্রিজে একটু থিতু হতে হবে।
শহিদ আফ্রিদি:
পাকিস্তানের অঅনুমেয় ক্রিকেট সত্ত্বার সবচেয়ে বর্ণিল চরিত্র শহিদ আফ্রিদি। নিজ দলের চরিত্রের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায় তার ব্যক্তিগত দর্শন। কারণ, বিস্ফোরক এই অলরাউন্ডার কখন কি করবে তা কেউই বলতে পারবেন না। তবে উপমহাদেশের উইকেটে বিশ্বকাপ হওয়ায় ভয়ংকর রূপে দেখা যেতে পারে এই পাঠানকে। সেক্ষেত্রে আফ্রিদির জন্য টনিক হতে পারে এশিয়া কাপে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। যখন একমেবাদ্বিতীয়ম হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতকে একাই হারিয়ে দিয়েছেন পাক এই অলরাউন্ডার।
শেন ওয়াটসন:
গত শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার নজির গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। যদিও বিশ্বকাপটা জিততে পারেননি এই বোলিং অলরাউন্ডার। সেক্ষেত্রে এবার ব্যাট-বলে সেটা পুষিয়ে নিতে চাইবেন তিনি। সদ্য শেষ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তা প্রমাণের চেষ্টাও করেছেন ওয়াটসন। সুতরাং ওয়াটসনকে নিয়ে বিপক্ষ দলকে একটু সাবধান হতেই হবে।
কোরি অ্যান্ডারসন:
মারকুটে অলরাউন্ডার হিসেবে নিউজিল্যান্ড দলে ভূর্ক্তি কোরি অ্যান্ডারসনের। তবে শুরুতে তা খুব বেশি প্রমাণ করতে পারেননি ব্লাক ক্যাপস এই তারকা। কিন্তু ২০১৪ সালের প্রথম দিনে ঘরের মাঠে ৩৬ বলে শহিদ আফ্রিদির ওয়ানডের দ্রুততম শতকের রেকর্ড কেড়ে নিয়ে বিশ্বকে নিজের কথা জানান দেন কোরি। যদিও উপমহাদেশের মন্থর উইকেটে কিউই তারকা কেমন করেন তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
যুবরাজ সিং:
হারিয়ে যাওয়া তারকাদের একজন যুবরাজ সিং। ক্যান্সারকে পরাজিত করে আবারো ক্রিকেট ফিরেই নতুন উচ্চতায় উঠেছেন যুবি। কিন্তু নিজেকে প্রমাণের যথেষ্ঠ সুযোগ থাকছে ভারতীয় এই অলরাউন্ডারের। কারণ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফ্লপ হলেই কপাল পুড়তে পারে তার। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ মিস হতে পারে যুবরাজের। তাই একটা মরণ কামড় দেয়ার সম্ভাবনা থাকছে যুবির।