ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর লেগ স্পিন এক সময় নজর কেড়েছিল। কালের বিবর্তে সাব্বির রহমান যেন নিজের বোলার পরিচয়টাই ভুলতে বসেছেন। অলরাউন্ডার পরিচয় ছেড়ে পুরো মনোযোগ ব্যাটিংয়ে। কিন্তু মাঝে মধ্যে যখনই বল হাতে তুলে নেন, হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে আসা ফ্লাইট আর টার্নের দুর্বোধ্যতা মুগ্ধ করে। আজ বাংলাদেশের মূল বোলাররা যখন কিছুতেই থামাতে পারছিল না জিম্বাবুয়ের রানের চাকা, টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে তিনিই হেনেছেন মোক্ষম আঘাত।
২.১ ওভার বল করে ১১ রানে ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরা হতে এটাই যথেষ্ট ছিল।এর আগে ব্যাট হাতেও করেছেন ৪৩। দুই দলের ২২ জন মিলিয়েই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান তাঁর, সবচেয়ে বেশি উইকেটও। আজ মাশরাফি জানালেন, এই সাব্বিরকেই তিনি চান। চান, সাব্বির যেন নিজের বোলিংটার প্রতি অবিচার না করেন।
ব্যাটিং অর্ডারে তিনে পদোন্নতি পাওয়ার পর দুই ম্যাচেই সাব্বির আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। এর জন্য মাশরাফিকে স্পেশাল একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন। অধিনায়ক জানালেন, সাব্বিরের ওপর বিশ্বাস কখনোই এতটুকু কমেনি তাঁর, ‘সে সব সময়ই ভালো খেলছে। বিপিএলের প্রথম দিকে স্কোর করতে পারেনি। তারপর সেমিফাইনাল থেকে খুব ভালো করেছে। এখন সে খুব ভালো ছন্দে আছে। একই সঙ্গে ওকে বলেছি বোলিংটাও একটু দেখতে। একজন ব্যাটসম্যান যদি বোলিংটাও পারে, সেটা সব সময়ই তার জন্য বাড়তি অস্ত্র। শুধু তার জন্যই না, পুরো দলের জন্য। ব্যাটসম্যান হিসাবে সে সেরা মানের। সঙ্গে বোলিংটাও ভালো করছে। এভাবে যদি বল করে সাহায্য করতে পারে, দলের জন্যও সেটা খুবই ভালো।’
কিন্তু সাব্বির নিজে বল করতে চাইলে তো শুধু হবে না। কে কখন বোলিং করবে, এটা অধিনায়কের ওপরই নির্ভর করে। এ দিক দিয়েও মাশরাফি উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছেন সাব্বিরের, ‘অবশ্যই তাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ও লেগ স্পিনার। এটা এখন ক্রিকেট বিশ্বেই হারিয়ে যেতে বসেছে। শেন ওয়ার্নদের মতো ধ্রুপদি লেগ স্পিনার হয়তো ও নয়। তারপরও লেগ স্পিনাররা উইকেট টেকিং বোলার। ও যদি এটা নিয়মিত করতে পারে, সেটা ওর জন্য ভালো, দলের জন্যও ভালো।’
প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও দুই ওভার করিয়েছেন। আজও করালেন। ঘরোয়া ওয়ানডেতে এক ম্যাচে ৪৩ রানে ৬ উইকেট নেওয়া সাব্বিরের জন্য এটা সুখবর বৈকি!