আইসল্যান্ডের ‘জলদস্যু উদযাপনে’ই বাকিদের বুকে কাঁপন!

0

92e261e296c097c38a5dfbf6ea372f7d-iceland[ads1]মাঠের কীর্তিতে এবারের ইউরোটা সবচেয়ে সুন্দর করে রাঙিয়ে দিয়েছে তারা। আইসল্যান্ডের কীর্তিটা যেন রূপকথার পাতা থেকে তুলে আনা গল্পের মতো, প্রথমবারের মতো কোনো বড় টুর্নামেন্টে খেলতে এসেই উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ ষোলোতে বিদায় করে দিয়েছে ফেবারিট ইংল্যান্ডকে, এর আগে পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরির মতো দলের সামনেও ভড়কে যায়নি। তবে শুধু সবুজ মাঠে নয়, গ্যালারিতে লালে-নীলে বর্ণিল গল্প লিখে চলেছে আইসল্যান্ডের দর্শকেরা। একসঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের ‘ভাইকিং চ্যান্ট’টাও তো এবার ইউরোর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যগুলোর একটি। আলোচিতও। এই তো, ইংল্যান্ডের সঙ্গে জয়ের পর সাবেক ইংল্যান্ড গোলকিপার পিটার শিলটনও বলে দিলেন, দর্শকদের এই ‘ভয়াল’ ডাকটাই ইংল্যান্ডকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে।
ইংল্যান্ড ম্যাচে জয়ের পর দর্শকদের সঙ্গে আইসল্যান্ড খেলোয়াড়দের সমবেত দৃশ্যটা মন কেড়ে নিয়েছে। ম্যাচ চলার সময়েও দৃশ্যটা বেশ কয়েকবার চোখে পড়েছিল। আইসল্যান্ড দর্শকেরা সবাই একসঙ্গে হাত ওপরে তুলে দাঁড়িয়ে, অনেকটা ইংরেজি অক্ষর ‘ওয়াই’-এর মতো। এরপর সবাই মিলে মুখে ‘হুউউউ’ আওয়াজ তুলতে তুলতে একই ছন্দে একবার হাততালি। আওয়াজ শুনে মনে হচ্ছিল, যেন আট থেকে এগারো শতাব্দীতে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে দাপিয়ে বেড়ানো জলদস্যুরা নিসে ফিরে এসেছেন আইসল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচের দর্শক হয়ে। [ads1]
শুধু মাঠেই নয়, ইংল্যান্ড ম্যাচের দিন আইসল্যান্ড রাজধানী রেইকাভিকেও হাজারো সমর্থক একসঙ্গে টিভি পর্দায় খেলা দেখতে এসে এমন জলদস্যুর আওয়াজ তুলেছিলেন। যা দেখে ম্যাচের পর অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরের শিরোনামও ছিল এমন—‘দ্য ভাইকিংস আর ব্যাক!’
শিলটনের মনে হচ্ছে, ১৮ মিনিটে ২-১ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর দর্শকদের এই আওয়াজটাই ইংল্যান্ডকে আরও ভয় পাইয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা সাবেক গোলকিপার বললেন, ‘হারের জন্য কোনো অজুহাতই দিতে পারবে না ইংল্যান্ড। এটা ভাবুন, আইসল্যান্ড অধিনায়ক, অ্যারন গুনারসন, ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে খেলে। এটাই তো কাগজে কলমে ইংল্যান্ডকে তাদের প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে রাখছে। তবে সম্ভবত আইসল্যান্ড দর্শকদের ভয়াল এই ভাইকিংস চ্যান্টই ইংল্যান্ডকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে।’
অবশ্য শুধু ইংল্যান্ডই নয়, এর আগে গ্রুপে আইসল্যান্ডের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ পর্তুগালের এক খেলোয়াড়ও নাকি বলেছিলেন, মাঠে আইসল্যান্ড সমর্থকদের ওই আওয়াজটা বুকে ভয়ের কাঁপন ধরিয়ে দেয়। মনে হয়, এই যেন কেউ সব লুটতে আসছে।
ভালোই তো। দর্শকেরাও যদি একসঙ্গে অমন ‘হুউউউ’ আওয়াজ তুলে প্রতিপক্ষের মনে ভয় ধরিয়ে দিতে পারেন, তো খারাপ কী? দলের ‘দ্বাদশ ব্যক্তি’দের কাজই তো তা-ই।[ads2]

সূত্র: গোলডটকম।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More