বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সাকিব আল হাসান। সোমবার সিডনিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ।
রোববার সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, “বড় দলের সঙ্গে ম্যাচ খেললে একটু সুবিধা তো থাকবেই। কারণ, এই সব ম্যাচে ভালো পারফর্ম করার জন্য আপনি অনেক বেশি সিরিয়াস থাকেন।”
এর আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের সঙ্গে দুটি অনানুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই দু্ই ম্যাচে হারে তারা।
সাকিব জানান, প্রস্তুতি ম্যাচে যারা রান পাবেন, তাদের আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে। যারা বোলিংয়ে ভালো করবেন, তাদের আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে।
বিগ ব্যাশ লিগে অংশ নেয়া সাকিব আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া এই টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে লাগবে।
“পিচ, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে (বিগ ব্যাশ) আমার জন্য অনেক বড় সুবিধা ছিল।”
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ধরণের ক্রিকেটেই আইসিসি অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিয়ের শীর্ষে থাকা সাকিব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রতিটি ম্যাচকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন।
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের সঙ্গে হেরেছিল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নবিদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলবেন সাকিবরা। এই ম্যাচকে অন্য কোনো কোনো ম্যাচের চেয়ে এগিয়ে রাখতে নারাজ বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক।
“যদি আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে চাই, (তাহলে) প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। যদি একটা দুইটা ম্যাচ জেতার লক্ষ্য নিয়ে আসি, তাহলে (প্রথম ম্যাচটি) গুরুত্বপূর্ণ; না হলে প্রতিটি ম্যাচ আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যানাবেরায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
দেশে থাকতেই সাকিব জানিয়েছিলেন, তাদের লক্ষ্য দ্বিতীয় রাউন্ড অর্থাৎ কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা। সিডনিতে সেই লক্ষ্যের কথাই জানান সাকিব।
“বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য অবশ্যই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া। আমাদের সেরা এবং ধারাবাহিক ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমি চেষ্টা করবো সেরাটা দেয়ার।”
বিশ্বকাপের দুই স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবে তারা।
সেই ম্যাচে অঘটন সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, “আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে, একই সঙ্গে ওদের বাজে দিন হতে হবে।”