ওয়াংখেড়েতে প্রথম ইনিংস শেষে ইংল্যান্ডের ২০ ওভারে করা ১৮২ রানটাকে মনে হচ্ছিল চ্যালেঞ্জিং স্কোর। খেলা শেষে মনে হচ্ছে, আরো কুড়ি-পঁচিশ রান বেশি হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেতাটা আটকাত না। কারণ গেইলের হাতের উইলো যে ঝড় তুলেছে! ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরে ক্রিস গেইলই দেখিয়েছিলেন, সেঞ্চুরি করা যায় ২০ ওভারের ক্রিকেটেও। যদিও দিন শেষে তাঁর আক্ষেপই বাড়ে, কারণ ম্যাচটা যে হেরে যায় ক্যারিবীয়রা। প্রায় ৯ বছর পর, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন গেইল, এবার জিতেছে দলও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮২ রান তাড়া করে উইন্ডিজ যখন জিতল, তখনো ম্যাচের ১১ বল বাকি।
সর্বোচ্চ ৪৮ রান জো রুটের, হেলসের ২৮, জস বাটলারের ৩০ ও অধিনায়ক এউইন মরগান অপরাজিত ২৭ রানে টসে হেরে আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ড করে ৬ উইকেটে ১৮২ রান। তাড়া করতে নেমে গেইলের অন্য প্রান্তে সঙ্গী বদলেছে নিয়মিত বিরতিতে। জনসন চার্লস বিদায় নেন দ্বিতীয় বলেই, মারলন স্যামুয়েলস খানিকক্ষণ সঙ্গ দিলেও বিদায় নেন ৩৭ রান করে। দীনেশ রামদিন, ডোয়াইন ব্র্যাভোরাও পাশে থাকেননি। তবে নিজের দিনে গেইল একাই তো যথেষ্ট! শুরুতে একটু সংযত, ৫০ করতে খেলেছেন ২৭ বল। বাকি ৫০ করতে নিলেন ২০ বল, সব মিলিয়ে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি, চারের মার মাত্র ৫টি আর ছক্কা ১১টি! ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ৯১ ছক্কা ছাপিয়ে গেইলের ৯৮ ছক্কাই এখন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ। গেইলের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে জিতে বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে শুভসূচনা ক্যারিবীয়দের, এমন ম্যাচের সেরা গেইল ছাড়া আর কেই বা হবেন!
ক্রিকইনফো