কাজটি বোলাররা অনেকটা করেই রেখেছিলেন। এরপর ছিল ব্যাটসম্যানদের পালা। দলীয় ৫ রানে তামিম আর ২৪ রানে উড়ে গেল লিটন কুমার দাসের উইকেট।
রাবাদা যেন প্রথম ম্যাচের শঙ্কায় জাগিয়ে তুলেছিলেন মিরপুরসহ সারাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু ওপেনার সৌম্য সরকার আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নিজেদের ব্যাটের ঝলকে সেই শঙ্কা দূর করে দলকে দাপুটে এক জয় এনে দিলেন।
এরপরও দুর্ভাগ্য মাহমুদুল্লাহর, জয় থেকে মাত্র চার দূরে তিনি আউট হয়ে যান। তবে ছক্কা মেরে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৬২ রান পার করে স্বাগতিকদের স্কোর ৩ উইকেটে ১৬৭ করেন সৌম্য। তখনও ম্যাচের বাকি ছিল ২২.২ ওভার।
৭ উইকেটর দাপুটে এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতায় ফিরল মাশরাফিরা। একই সঙ্গে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলাও নিশ্চিত করল বাংলাদেশ, যেটি জিম্বাবুয়ে পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে আগস্টে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করায় একটু শঙ্কার মুখে ছিল।
অথচ শুরুতেই সাজঘরে ফিরে আজও বিপদের আভাসই দেন তামিম ইকবাল। দলীয় ৫ রানে কাগিসো রাবাদার বলে সরাসরি বোল্ড হন ৫ রান করা তামিম। এরপর সৌম্য সরকারের সঙ্গে দলের হাল ধরেন লিটন কুমার দাস। বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে সেই রাবাদার বলেই লিটনও বোল্ড হন, দলীয় ২৪ রানে। লিটন ১৪ বলে দুই বাউন্ডারি, এক ছক্কায় করেন ১৭ রান।
এরপর সৌম্য সরকার আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দলের হাল ধরেন। ১৩৫ রানের দুর্দান্ত এই জুটি ভাঙে জয় থেকে মাত্র চার রান দূরে। ২৭তম ওভারে অ্যাবোটের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন রিয়াদ। পরের বলেই হাশিম আমলা হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
রিয়াদ ৬৪ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৫০ রান। এরপর সাকিব এসে চার বল মোকাবেলা করলেও কোনো রান করেননি। পরের ওভারে প্রথম বলে দুই এবং চতুর্থ বলে ইমরান তাহিরকে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন সৌম্য সরকার।
সৌম্য শেষ পর্যন্ত ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭৯ বলের এই ইনিংস সৌম্য সাজান ১৩টি চার ও একটি ছক্কায়। বিনিময়ে তিনি ম্যাচসেরা হন।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ৪৬ ওভারে মাত্র ১৬২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন ফাফ ডু প্লেসিস।
টাইগারদের পক্ষে নাসির ও মুস্তাফিজ ৩টি করে এবং রুবেল হোসেন দুটি উইকেট নিয়ে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধসিয়ে দেন। ম্যাচ শেষে নাসির হন সেরা পারফরমার।