জুয়া-বাজির বিশ্বকাপ

0
খেলায় টান টান উত্তেজনা। প্রজেক্টরে খেলা উপভোগ করছেন দর্শক। ছবিতে প্রজেক্টরের বাম পাশে বাতি জ্বালিয়ে টেবিলে চরকা লাগিয়ে সকলের সামনেই চলছে ক্রিকেট জুয়া।
খেলায় টান টান উত্তেজনা। প্রজেক্টরে খেলা উপভোগ করছেন দর্শক। ছবিতে প্রজেক্টরের বাম পাশে বাতি জ্বালিয়ে টেবিলে চরকা লাগিয়ে সকলের সামনেই চলছে ক্রিকেট জুয়া।

১৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ উন্মাদনায় ঢাকা তো বটেই, কাঁপছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। তবে এই ক্রিকেট বিশ্বকাপকে ঘিরে প্রতিনিয়ত চলছে টিকিট কালোবাজারি, ঘটছে জুয়াবাজি।

বাংলাদেশিরা আবেগপ্রবণ জাতি। বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্রিকেটই ধ্যান-জ্ঞান। নিজেদের খেলার দিন ১৬ কোটি মানুষ তাকিয়ে থাকে টিভি স্ক্রিনে। অনেকে লাল-সবুজ জার্সি পড়ে চলে যান স্টেডিয়ামে। এমনই ক্রিকেট পাগল জাতি আমরা, বাংলাদেশের খেলার দিন শত কর্ম ব্যস্ততার মধ্যেও খবর রাখি সাকিব-তামিমরা কেমন খেলছেন। রিকশাচালক রিকশা থামিয়ে মোড়ের দোকানে উঁকি দেন নিজ দেশের খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স জানতে। আর মানুষের এই আবেগ-ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে এক ধরনের অসাধু চক্র প্রতিনিয়তই করছেন টিকিট কালোবাজারি।

পাশাপাশি হাজার হাজার টাকার লেনদেনে চলছে বাজি ধরে জুয়াখেলা। প্রকাশ্যেই বাজি চলছে রাস্তার মোড়ের দোকানসহ প্রজেক্টরের বড়পর্দার সামনে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। আইন-শৃংখলা বাহিনী মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও কিছুতেই পেরে উঠছে না এই জুয়াড়ি ও বাজিকরদের সঙ্গে। বাজি-জুয়ার এই করাল গ্রাস ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে গ্রামগঞ্জে।

চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেটে শুরু হওয়া এই বিশ্বকাপের আসর চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। সেমি-ফাইনালের আগ পর্যন্ত সব ম্যাচের টিকিট মূল্য সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা। ঢাকায় সেমিফাইনালে টিকিট কেনা যাবে সবচেয়ে কম ১০০ টাকায়, সর্বোচ্চ মূল্য তিন হাজার টাকা। ফাইনালের টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ২০০ টাকা, সর্বোচ্চ ৪০০০ টাকা। প্রথম রাউন্ড ও সুপার টেনমিলিয়ে ২২ দিনের টুর্নামেন্টে ম্যাচ মোট ৬০টি। ছেলেদের ৩৫টি ও মেয়েদের ২৫টি। এর মধ্যে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ২৫ হাজার, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ২০ হাজার এবং সিলেট স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১৪ হাজারের মতো।

যেভাবে টিকিট কালোবাজারি :
ব্যাংকগুলোতে টিকিট ছাড়া হলে সংঘবদ্ধ চক্র লাইন দখল করে রেখে অনেক টিকিট কিনে রাখে। অনেক সময় ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাকে হাত করেও কিনে নেয়া হয় অধিক পরিমাণে টিকিট। পরে সেগুলো বিক্রি করা হয় ১০ থেকে ১৫ গুণ বেশি দামে। তবে বর্তমানে টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। সেখানেও চলছে অনিয়ম আর প্রযুক্তির কূটকৌশল প্রয়োগ।

এবার নিয়ম ছিল একজন এক ম্যাচের সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। টিকিট নেওয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট আনতে হবে। আনতে হবে টিকিট কেনার রসিদ অথবা প্রিন্ট আউট। যারা অনলাইনে টিকিট কিনেছেন তাদের সঙ্গে নিতে হবে যে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিনেছেন সেই কার্ডও। এত কিছুর পরও ঠেকানো যায়নি টিকিট কালোবাজারি। একেকজন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে কয়েকজনের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে একাধিক টিকিট কিনেন। পরে সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করা হয়। আবার অনেক সময় হাত-বদল হয়ে একই টিকিট কয়েক ধাপে বিক্রি করা হয়।

জড়িত শিক্ষিত তরুণরাই :
অনলাইনে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতরা বেশির ভাগই শিক্ষিত তরুণ। স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যারা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছেন তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে, যারা টিকিট ছাড়ার সাথে সাথে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে লগ ইন করে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সবার পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে টিকিট কাটার কাজটি করে ফেলেন। এরপর সেটা প্রকাশ্যেই ফেসবুক বা অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দেন, তার কাছে টিকিট আছে আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন। এরপরই সেগুলো ম্যাচ অনুসারে বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হয়। যেমন- গত শুক্রবারের হাইভোল্টেজ ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ম্যাচে পূর্ব গ্যালারির ৫০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫০০ টাকায়।

খেলা চলে মাঠে, বাজি চলে দোকানে :
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম আলোচিত বিষয় ক্রিকেট বা ফুটবল ম্যাচ ঘিরে স্পট ফিক্সিং ও বাজি। আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া বিভিন্ন ক্রিকেট বা ফুটবল ম্যাচকে ঘিরে বাজিকরদের চলে দর কষাকষি। দুর্বল টিমের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের খেলা থাকলে সেক্ষেত্রে দেয়া হয় লোভনীয় সব অফার। বাংলাদেশেও আনাচে-কানাচে বাজির ঘোড়া প্রায়ই লাফিয়ে ওঠে। চলে রমরমা বাজি-ব্যবসা। আইপিএল, বিপিএল, বিশ্বকাপ এমনকি দেশ-বিদেশের ঘরোয়া লিগগুলোকে ঘিরেও বাজিকরদের চলে রমরমা ব্যবসা।

পরিসংখ্যান বলে, পাশের দেশ ভারত এবং পাকিস্তানে স্পট ফিক্সিংসহ বাজির প্রভাব অনেক বেশি। বিশ্বে পাঁচটি বাজিকর বা জুয়াড়ি অধ্যুষিত দেশের মধ্যে থাকবে এই দুই দেশের নাম। বিশ্লেষকদের মতে, আমাদের দেশে বাজিটা এসেছে এই দুই দেশ থেকেই। আর ছড়িয়ে পড়ছে দেশের আনাচে-কানাচে। সম্প্রতি ম্যাচ ফিক্সিংকে ঘিরে আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে ঘটে গেছে সবচেয়ে বড় ঘটনা। শাস্তি পেয়েছেন দেশের এক সময়ের অন্যতম খেলোয়ার মোহাম্মদ আশরাফুলসহ আরও কয়েকজন।

বাজিকরদের বিচরণ ক্ষেত্র :
আন্তর্জাতিক পরিসরের বাজিকরদের আনাগোনা আমাদের দেশে তুলনামূলক কিছুটা কম হলেও ঘরোয়া বাজিকরদের বিচরণ ক্ষেত্রটা অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে মাঠে গিয়ে বাজি ধরা হয়। আর যদি দেশের বাইরে খেলা হয় তাহলে বাজিটা হয় টিভি মনিটর দেখে। আর এখন চলছে ধুম-ধাড়াক্কা টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর। রাস্তার মোড়ের দোকানগুলোতে চোখ রাখলেই দেখা যায়, সেখানে চলছে বাজির দর কষাকষি। যারা বাজি ধরেন তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছর। আর যাদের বয়স বেশি কিন্তু বাজি ধরেন তারাই হলেন ঘরোয়া বাজির মাফিয়া ডন।

রাজধানীর মিরপুর এবং পুরান ঢাকায় বাজিকরদের বিচরণটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। জুয়াড়িদের এই নতুন ধান্দায় থেমে নেই নগরীর অভিজাত এলাকাগুলো। ধনীর দুলালরা বাজি ধরেন বিভিন্ন বার এবং অভিজাত হোটেলে গিয়ে। তাদের বাজি ধরার ধরনও ভিন্ন এবং অবশ্যই বিগ বাজেট। বিভিন্ন ম্যাচকে ঘিরে জুয়াড়িদের এই প্রভাবটা দেখা যায় গ্রামবাংলাতেও। বিভিন্ন মোড়ের দোকানগুলোতে চলে এসব ম্যাচে বাজি। দলগত হার-জিত নির্ধারণ বাজির পাশাপাশি চলে ওভার বা বল বাই বল বাজি।

টিভির স্ক্রিন দেখে যেভাবে চলে জুয়া :
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বাজিকররা মাঠে গিয়ে বাজি ধরেন। কিন্তু আমাদের দেশে একধরনের বাজিকর আছে যারা বাজি করে টিভির স্ক্রিনে খেলা দেখে। আজকাল একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, যখন কোনো ধরনের খেলা চলে, বিশেষ করে টি-২০ ম্যাচ, তাহলে তো কথাই নেই, জটলা বেঁধে যায় মোড়ের ছোট্ট দোকানগুলোতে।

সরেজমিন বিশ্বকাপের একটি খেলা চলাকালে মিরপুরের এক ছোট্ট চায়ের দোকানে দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। কাছে গিয়ে দেখা যায়, হাতবদল হচ্ছে টাকা। বুঝতে বাকি থাকে না এখানে জুয়া চলছে। বোলিং করতে এলেন শ্রীলঙ্কার বিস্ময় বোলার মালিঙ্গা। ব্যাটিংয়ে আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটসম্যান এবিডি ভিলিয়ার্স। তখন একজন দর হাঁকল এই ওভারে ৬ রান নেবেন, ঠিক তখনই আরেকজন বলল, আমি ৭ রান নিমু। জমা রাখা হলো উভয়পক্ষের ২০০ করে ৪০০ টাকা। এভাবেই ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে চলে বাজি।

ম্যাচের পাওয়ার প্লেতে কত রান হবে, ৫-১০ ওভারে কত রান হবে, মোট রান কত হবে, কোন খেলোয়াড় বেশি রান করবে সবকিছুতেই চলে বাজি। বাজি চলাকালীন একটা মজার ব্যাপার হল, অনেক সময় দোকানদার বলেন, আর টিভি চলবে না, খেলা বন্ধ। তখন আবার সেখানকার জুয়াড়িরা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তুলে দেয় দোকানির হাতে। দোকানি হাসিমুখে টিভি চালিয়ে দেন।

অনেক সময় বাজিকরদের টাকা জমা রাখেন রাস্তার মোড়ের দোকানিরা। ভালো দলের সঙ্গে খারাপ দলের খেলা হলে দর কষাকষিটা হয় ভিন্নভাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের খেলা হলে বাজির দর হয় ১: ৩। অর্থাৎ অষ্ট্রেলিয়ার পক্ষে ১০০ টাকা আর আয়ারল্যান্ডের ৩০০ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, মাঝে মাঝে দোকানগুলোতে এসে হিস্যা নিয়ে যায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বাজির দলিল দস্তাবেজ সংরক্ষণ :
নগদ বাজির পাশাপাশি চলে মাসব্যাপী বাকি বাজির পসরা। এটাকে অনেকে মাসিক ইনকামের অংশ হিসেবে দেখেন। অনেক সময় কেউ কেউ নিঃস্ব হয়ে যান বাজির টাকা পরিশোধ করতে। মাসিক বাজির ক্ষেত্রে বাজির দলিল-দস্তাবেজ সংরক্ষণ করা হয় মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে। তবে পরিবারের লোকজনের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে এক্ষেত্রে বেশ সতর্ক জুয়াড়িরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা দুটি মোবাইল ব্যবহার করেন। বাজির দরটা বেশি হলে মোবাইলে রেকর্ডিংটাও করে রাখা হয়।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে এক বাজিকর জানান, মাসিক বাজিটা সাধারণত করা হয় দীর্ঘদিনের বাজির পার্টনারের সঙ্গে। এক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা জরুরি। মাসের নির্দিষ্ট একটা তারিখ দেয়া থাকে, ওইদিনই টাকা পরিশোধ করতে হয়। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেশি হলে একটা নির্দিষ্ট অংশ অবশ্যই পরিশোধ করতে হয় বলে জানান তিনি।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, “টিকিট কালোবাজারি রোধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে, পাশাপাশি আমাদের পোশাকধারী পুলিশও কাজ করছে। আমরা বেশ কিছু স্থান শনাক্ত করেছি, বিশেষ করে মিরপুর বা এর আশপাশের এলাকায় আমাদের যথেষ্ট সতর্ক অবস্থান রয়েছে। বেশি দামে টিকিট বিক্রির বিষয়টি আমরা অবগত আছি এবং কেউ যেন বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতে না পারে সে ব্যাপারে যথাযথ চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারপরও যদি কারও কাছে এব্যাপারে অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের জানালে অ্যাকশন নেব এবং অভিযুক্তকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

টিকিট কালোবাজারির পাশাপাশি প্রকাশ্যে বাজি বা জুয়া খেলার বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদুর রহমান বলেন, “এরকম কোনো ব্যাপারে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তারপরও যদি কেউ আমাদের অবহিত করে এখানে বাজি ধরা হচ্ছে, তাহলে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

টিকিট কালোবাজারি, বাজি কিংবা জুয়ার শাস্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, “অপরাধীর বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে মামলা এবং সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডসহ জরিমানা হবে।”

বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রতিটি ম্যাচেই মিরপুর এলাকায় বিশেষ করে স্টেডিয়াম এবং তার আশপাশের এলাকায় প্রকাশ্যেই চলে টিকিট কালোবাজারি।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “এখন কালোবাজারি হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। আমাদের জানা মতে, এবারের বিশ্বকাপের টিকিট ব্যবস্থাপনায় ছিল আইসিসি। তারা অনলাইনে টিকিট ছাড়ে। অনলাইনে অনেকেই আছে যারা প্রথম সুযোগেই অনেক টিকিট কেটে রাখেন। যারা অনলাইনে এসব কাজ করেন তারা সবাই শিক্ষিত। তারাই টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত।”

তিনি বলেন, “আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, ইদানীং যারা এসব করছেন তারা সবাই উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান এবং বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। আগে অভাবী লোকজন এসব কাজ করত। এখন কিন্তু সেটা নয়! গতরাতেও আমরা একজনকে ধরেছি সে ২০০ টাকার টিকিট পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করছিল। তবে আমরা যেটা করছি সেটা হল অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোত যারা বিভিন্ন ধরনের টিকিট বিক্রির অফার দিচ্ছেন তাদের একটা তালিকা করে ধরার চেষ্টা করছি। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এটা এত ব্যাপক যে, তাদের ধরতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা মনে করছি, অনলাইনে টিকিট ছাড়ার কারণেই কালোবাজারির সুযোগ আরও বেড়েছে। এমনও দেখা যায়, যারা সংঘবদ্ধ চক্র হিসেবে কালোবাজারি করে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও জড়িত। এক্ষেত্রে আমরা বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More