ক্রাইস্টচার্চ: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৯৮ রানের জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাদের ছুড়ে দেয়া ৩৩২ রানের পাহাড় টপকাতে ব্যাট করতে নেমে ২৩৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এর ফলে ৯৮ রানের জয় পায় কিউইরা।
৩৩২ রানের লক্ষ্য ছুতে ভালোভাগে ইনিংস শুরু করা শ্রীলঙ্কা দল ৩৯ রানের মধ্যে পরপর চারটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। পরে এ চাপ থেকে সামলে উঠতে পারেনি তারা।
ম্যাচের ১৩তম ওভারে দলীয় ৬৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ভেট্টরির বলে কট অ্যান্ড বোল্ডের শিকার হন দিলশান।
দলীয় ৬৭ রানের মাথায় ভেট্টরির করা বলে আউট হওয়ার আগে দিলশান করেন ৩৪ রান। তার আউট হওয়ার পর থিরিমান্নের সঙ্গে জুটি বেধে ভালোভাবেই লক্ষ্য তাড়া করতে থাকেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং নির্ভরতার প্রতীক কুমারা সাঙ্গাকারা।
কিন্তু দলীয় ১২৪ রান থেকে ১৬৩ রানের মধ্যে পরপর চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। পরে সব উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় দলটি। এর ফলে ৯৮ রানের পরাজয় মেনে নিতে হয় তাদের।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ভেট্টরি, টিম সৌদি, মিলান, অ্যান্ডারসহ ও বোল্ট প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কা। ৫০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৩১ রানের পাহাড় গড়ে তোলে কিউইরা। প্রথমসারির তিনজনের ফিফটিতে তারা এই রান সংগ্রহ করে।
উদ্বোধন করতে নেমে অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ও মার্টিন গাপটিল ঝড়ো সূচনা এনে দেন। ম্যাককুলাম ৪৯ বলে ৬৫ রান ও মার্টিন গাপটিল ৬২ বলে ৪৯ রান করে আউট হন।
এরপর দলীয় ১৯৩ রানে উইলিয়ামসন ব্যক্তিগত ৫৭ রান করে আউট হন। একই রানে রস টেইলরকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন জীবন মেন্ডিস। কিন্তু সেটি ব্যর্থ করে দেন গ্রান্ট ইলিয়ট।
সেখান থেকে দলের রান পাহাড়ে চড়ান ইলিয়ট ও কোরি অ্যান্ডারসন। ইলিয়ট ২৯ করে সাজঘরে ফিরলেও ইনিংসের শেষ বলে ফেরেন অ্যান্ডারসন। এর আগে তিনি রীতিমত ঝড় তুলে ৭৫ রান করেন।
মাত্র ৪৬ বলের ইনিংসে অ্যান্ডারসন আটটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। আর ষষ্ঠ উইকেটে লুক রঞ্চিকে নিয়ে মাত্র ৩৭ বলে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। রঞ্চি ১৯ বলে চার বাউন্ডারিতে করেন অপরাজিত ২৯ রান।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে জীবন মেন্ডিস ও সুরঙ্গা লাকমাল দুটি করে চারটি এবং বাকি দুটি পেয়েছেন রঙ্গনা হেরাথ ও নুয়ান কুলাসেকারা।