ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার আনন্দ উপভোগ করতে-করতেই আরেকটি সাফল্যে বিভোর বাংলাদেশ। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সাতবার মুখোমুখি হলেও কখনো পাকিস্তানকে হারানো সম্ভব হয়নি। অষ্টম প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সফল। ওয়ানডের মতো একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও স্বাগতিকদের জয় এসেছে দাপটে। শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মাশরাফির দল জিতেছে ৭ উইকেটে। ১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২২ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
মোহাম্মদ হাফিজের প্রথম ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কা মেরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম উত্তাল করে তুলেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু একটি রান নিতে গিয়ে তামিমের ভুল বোঝাবুঝিতে সৌম্য সরকার (০) রান আউট হয়ে যাওয়ায় শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। তামিমও বেশি দূর যেতে পারেননি, ১৪ রান করে উমর গুলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন হাফিজকে। ষষ্ঠ ওভারে মুশফিকুর রহিম ওয়াহাব রিয়াজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন ১৯ রান করে। ৩৮ রানে তিন উইকেট হারালেও চতুর্থ উইকেটে ১০৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে গেছেন সাকিব ও সাব্বির।
৪১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলার পথে সাকিব মেরেছেন নয়টি চার। সাতটি চার ও একটি ছয় মেরে ৩২ বলে ৫১ রান করেছেন সাব্বির।
এর আগে মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিবের দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১৪১ রানে আটকে রাখে মাশরাফির দল। সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে মুখতার আহমেদের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের পক্ষে অভিষেকেই আলো ছড়িয়ে চার ওভার বল করে ২০ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ৫০ রান এনে দেন আহমেদ শেহজাদ ও মুখতার। তাসকিন আহমেদের সৌজন্যে বাংলাদেশ পায় প্রথম সাফল্য। নবম ওভারের শেষ বলে শেহজাদের (১৭) ক্যাচ লং-অফে দারুণভাবে তালুবন্দী করেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
পরের ওভারেই পাকিস্তানের অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে (১২) কট বিহাইন্ড করেন মুস্তাফিজ। ১৩তম ওভারে মুখতারকে আউট করে পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেলে দেন আরাফাত সানি। ১৮তম ওভারে পাকিস্তানের আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজের উইকেটও তুলে দেন মুস্তাফিজ।
উইকেট না পেলেও চার ওভার বল করে সাকিবের খরচ মাত্র ১৭ রান। মুস্তাফিজের দুই উইকেটের পাশে একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন ও আরাফাত।
মুস্তাফিজ ছাড়াও বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে সৌম্য সরকারের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ২০ ওভারে ১৪১/৫ (মুখতার ৩৭, শেহজাদ ১৭, আফ্রিদি ১২, হারিস ৩০*, হাফিজ ২৬, তানভীর ৮*; মুস্তাফিজুর ২/২০, সানি ১/২৩, তাসকিন ১/২৯, নাসির ০/১৬, সাকিব ০/১৭, মাশরাফি ০/২৯)