খেলা ডেস্ক: ‘চার ছক্কা হইহই, বল গড়াইয়া গেল কই’ গানটির সাথে দেশের মানুষকে নতুন করে পরিচয় করানোর আর কিছু নেই। আগামী ১৬ মার্চ বাংলাদেশের মাটিতে শুরু হচ্ছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট। বড় এই ক্রিকেট আসরে ‘অফিশিয়াল ইভেন্ট সং’ গেয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। এ গানটিকে সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় করতে দেশের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ‘ফ্ল্যাশ মব’ শীর্ষক ব্যতিক্রমী প্রচারণায়। ইতোমধ্যে ইউটিউবে ভিডিওগুলো বাজিমাৎ করতে সক্ষম হয়েছে।
‘ফ্ল্যাশ মব’ এর ভিডিওতে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা হঠাৎ করে সড়কে দাঁড়িয়ে গানের সাথে তাল মিলিয়ে নাচতে শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় ও নাচের স্থান ভিন্ন হলেও, একই কোরিওগ্রাফিতে নাচগুলোর তাল মেলানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আচমকা জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা এ রকম পরিবেশনায় অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ব্যতিক্রমী এই ভিডিও দৃশ্য নিয়ে বাংলা ও ইংরেজি-দুই ভাষায় লেখা গানটির মিউজিক ভিডিও তৈরি হচ্ছে। এটি একযোগে মুক্তি দেওয়া হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের তিন ভেন্যু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে।
গ্রে অ্যাডভারটাইজিং এজেন্সি বাংলাদেশের সমন্বয়ে ফ্ল্যাশ মব শীর্ষক ব্যতিক্রমী এ প্রচারণা চালানো হয়। এটির সমন্বয়ক শাকিল মাহবুব জানান, ঢাকায় ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ, চট্টগ্রামে ৩ থেকে ৪ মার্চ এবং সিলেটে ২৫ ফেব্রুয়ারি কয়েক শ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মিউজিক ভিডিও নির্মাণের কাজ শেষ হয়। এতে তিন শহরের ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গড়ে ৭০ জন করে শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ফ্ল্যাশ মব প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে: ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এনাম মেডিকেল কলেজ; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটি এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
‘চার ছক্কা হইহই’ শীর্ষক গানটি লিখেছেন রেফায়াত আহমেদ ও অনম বিশ্বাস। সুর করেছেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির ও কৌশিক। সংগীতায়োজন করেছেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির। এটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কনা, এলিটা, পান্থ কানাই, জোহান, সানভিল হুদা, পূজা ও কৌশিক।
তিন শহরে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নির্মিত মিউজিক ভিডিওগুলো দেওয়া হবে আইসিসির ইউটিউব চ্যানেলে। সেখানে সবচেয়ে বেশিবার দেখা মিউজিক ভিডিও তিনটি বিবেচিত হবে সেরা হিসেবে। সেরা ভিডিওগুলো আইসিসির ফ্যান পেইজে প্রদর্শিত হবে এবং বিশ্বকাপ চলাকালে বিরতির সময় এসব ভিডিও স্টেডিয়ামভর্তি দর্শকদের সামনে পর্দার মাধ্যমে প্রদর্শনও করা হবে। ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোন তিনটি প্রতিষ্ঠান সেরা নির্বাচিত হচ্ছে, সেই অপেক্ষার প্রহর গোনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।