ঢাকা: ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে বাংলাদেশের। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা আটে থাকতেই পারলেই মিলবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার সুযোগ। এ সুযোগ অর্জন করার জন্য ভারতের বিপক্ষে সিরিজকেই লক্ষ্য বানিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপরও রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। দুই সিরিজ মিলে মোট ৬ ম্যাচ।
এই ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিততে পারলেই মিলে যেতো অষ্টম স্থানে থাকার নিশ্চয়তা। অথচ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ তো দূরের কথা, ভারতের বিপক্ষে সিরিজও এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই টানা দুই ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করে ফেলল মাশরাফির দল।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে যায় বাংলাদেশ। রেটিং পয়েন্ট ৮৮ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৯১। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮৮, পাকিস্তানের ৮৭। হিসাব ছিল, ২-১ সিরিজ জিতলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৩। আর পাকিস্তানের পর ভারতকেও বাংলাওয়াশ করতে পারলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৬।
যদিও প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারিয়েই র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে উঠে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের সুবাধে এই স্থানে বাংলাদেশের অবস্থান নিরঙ্কুশ হয়ে গেলো। আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে র্যাংকিংয়ে অবনমন হওয়ার সম্ভাবনা কম বললেই চলে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপও ইংল্যান্ডে। সেরা আট দল সুযোগ পাবে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি বিশ্বকাপেও। তার জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে আরও অনেক। ২০১৭ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেরা আটে থাকতে পারলে সরাসরি মিলবে বিশ্বকাপের টিকিট। না হয়, খেলতে হবে আইসিসি সহযোগি দেশগুলোর সঙ্গে বাছাই পর্ব।
পাকিস্তান কিছুদিন পরে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে শ্রীলংকার। বাংলাদেশ খেলছে ভারতের বিপক্ষে। এই দুটো সিরিজ শেষেই র্যাঙ্কিংয়ে ওলটপালট হবে। তবে বাংলাদেশ সে অপেক্ষা না করেই পরপর দু ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করে ফেলল।
এমনও হতে পারে, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে। সেই সম্ভাবনাও আছে। তখন বাদ পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আটে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট ৮৮। নয়ে থাকা পাকিস্তানের ৮৭। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ওয়ানডে সিরিজ নেই। আর সেপ্টেম্বর ৩০-এর মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের আটে থাকা দলগুলোই খেলবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।