জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে চারটি অভিষেকসহ মোট পাঁচটি পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ। দল নিয়ে এই বিরাট পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে টানা দুই ম্যাচ জেতার পর তৃতীয় ম্যাচে হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। দল নিয়ে এত বেশি পরীক্ষার সমালোচনা করেছেন অনেকেই। তবে সব সমালোচনার জবাব দিলেন, বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। জানালেন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে হঠাৎ করেই ইনজুরিতে পড়ে দেশে ফিরেন এনামুল হক বিজয়। তার আগেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয় আল-আমিন হোসেনকে। তাদের পরিবর্তে হঠাৎ দলে যোগ দিয়ে হতাশ করেন ইমরুল কায়েস। আর শফিউলকে খেলানোর সাহসই পাইনি টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের প্রস্তুত রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সুজন।
বৃহস্পতিবার খুলনার সিটি ইন হোটেলে সুজন বলেন, ‘বাংলাদেশকে যদি সামনের দিকে এগিয়ে নিতেই হয় তাহলে সেকেন্ড স্ট্রেন্থ বোলারদের তৈরী করতে হবে। একটা না একটা সময়ে তাদের অভিষেক হতই। যদি মনে করে দেখেন গত অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে আল-আমিনের পরিবর্তে শফিউল গিয়েছিল। বিজয়ের পরিবর্তে ইমরুল গিয়েছিল। তারা কিন্তু তৈরি ছিল না। অনুশীলন ছিল না তাদের। আমরা চাচ্ছি ১৯-২০ জনের একটা পুল তৈরি থাকবে। বিশ্বকাপে আমাদেরকে ব্যাক টু ব্যাক এবং এশিয়া কাপে পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হবে। মূল বিশ্বকাপের আগেও কিন্তু তিনটি প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে হবে। যদি কোনো না কোনো কারণে কেউ ইনজুরিতে পড়ে তাহলে তার পরিবর্তে অনেককেই তৈরি করতে হবে। সব চিন্তা করেই এসব পরিবর্তণ আসছে। এটা মনে রাখতে হবে সবাই জাতীয় দলে খেলার মত যোগ্য ক্রিকেটার। তারা যোগ্য বলেই আজ জাতীয় দলে খেলছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।
সূত্র : বাংলাদেশের খেলা
Prev Post