পাকিস্তানের বিশ্বকাপ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ কাটল না তাদের ভারতে পৌঁছানোর দুই দিন আগেও। শাহিদ আফ্রিদিদের ভারতে আসার কথা বুধবার রাতে। কলকাতাতেই প্রথম পা রাখার কথা তাদের। তার আগে সোমবার বিকেলে ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে আটারি হয়ে ধর্মশালায় পা রাখেন দুই পাকিস্তানি প্রতিনিধি। তাদের দলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা কড়া, তা খতিয়ে দেখতে এ দিন চলে এলেন পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা উসমান আনোয়ার ও পাক বোর্ডের কর্মকর্তা আজম খান। দিল্লি থেকে পাকিস্তানি হাই কমিশনের এক কর্মকর্তাও এদের সাথে যোগ দেন বলে খবর। তাদের রিপোর্টের উপরই নির্ভর করছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভারতে আসা বা না আসা। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ এই প্রতিনিধি দলকেও জানিয়ে দিয়েছেন, তারা পাকিস্তান দলকে যথেষ্ট নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। মঙ্গলবার পাকিস্তানের এই দুই প্রতিনিধি দিল্লিতে যাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে তারা থাকবেন। তারপরই তারা পাকিস্তান সরকারকে তাদের রিপোর্ট দেবেন। তবে সোমবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী চৌধুরি নিসার আলী খান ঘোষণা দেন যে, নিরপত্তা নিশ্চিত না করলে পাকিস্তান তাদের দলকে এই টুর্নামেন্টে পাঠাবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা ওই হুমকিগুলো খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি এবং আমরা কোনোভাবেই আমাদের খেলোয়াড়দের জীবন নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাই না। এর আগেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের অনেক শিল্পীদের এই হুমকি দেয়া হয়েছে।’ এছাড়া পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান শাহরিয়ার বলেন, ‘‘হিমাচল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। তা হলে বুঝুন আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য কত বড় ঝুঁকি হয়ে যাচ্ছে? আমাদের প্রতিনিধিরা কী রিপোর্ট দেন, তার উপরেই নির্ভর করছে সব কিছু।’’ কলকাতাতেই পাকিস্তানের প্রথম আসার কথা এবং এখানে পাকিস্তান দলের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ ও মূলপর্বের প্রথম ম্যাচটি খেলার কথা। তাই সিএবি কর্তারাও চিন্তায়। বিসিসিআই থেকে অবশ্য সোমবার পর্যন্ত পাকিস্তানের না আসার বা দেরিতে আসার কোনো ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। কলকাতা পুলিশের কাছেও তেমন কোনো খবর নেই বলে জানান হয়।