ঢাকা: টেনিস সেনসেশন সানিয়া মির্জাকে ‘পাকিস্তানের পুত্রবধূ’ বলে তাকে তেলেঙ্গানা রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মনোনীত করার বিরোধিতা করে স্থানীয় বিজেপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের জের ধরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ সানিয়াও।
গত সোমবার ভারতের নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মনোনীত হন সানিয়া। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও এ পদে নিযুক্ত করার সময় টেনিস কন্যাকে ‘হায়দারাবাদের কন্যা’ বলেও উল্লেখ করেন।
কিন্তু সানিয়াকে এ পদে অভিষিক্ত করতেই চটে যায় তেলেঙ্গানা বিজেপি। রাজ্য বিধানসভার সদস্য কে. লক্ষ্মণ বলেন, ‘সানিয়া জন্ম নেন মহারাষ্ট্রে, পরে তিনি পরিবারের সঙ্গে হায়দারাবাদে এসে বসবাস শুরু করেন।’
লক্ষ্মণের মতে, পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের স্ত্রী সানিয়া এ কারণে ‘বহিরাগত’।
লক্ষ্মণের অভিযোগ, বৃহত্তর হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক নিশ্চিত করতেই সানিয়াকে এ সম্মানীয় পদে অভিষিক্ত করেছে চন্দ্রশেখর রাও সরকার।
সানিয়াও এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘আমি সবসময়ই ভারতীয়, এবং অন্য সবার মতো সবসময় তা-ই থাকবো।’
এ মন্তব্য ‘তুচ্ছ ঘটনা’ উল্লেখ করে সানিয়া বলেন, ‘আমি শোয়েব মালিককে বিয়ে করেছি, তিনি পাকিস্তানের নাগরিক। কিন্তু আমি ভারতীয়, সবসময়ই অন্য ভারতীয়দের মতো থাকবো।’
লক্ষ্মণের বিতর্কিত মন্তব্যে বিস্মিত হয়েছে স্থানীয় ক্ষমতাসীন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতিও (টিআরএস)। দলটির মুখপাত্র কেশাভা রাও বলেন, এটা একদমই নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক মন্তব্য। কে কী বললো তা আমরা কানে তুলছি না। তিনি (সানিয়া) একজন আন্তর্জাতিক সফল ক্রীড়াবিদ।
এছাড়া, গুজরাটের নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন কেশাভা।
লক্ষ্মণের এ মন্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টা মন্তব্যের ঝড় উঠেছে ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও।