বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পঞ্চম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সেক্সটন ওভালে রীতিমতো হুমকি দিয়ে ফেভারিট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিলো পুঁচকে আয়ারল্যান্ড। দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন পল স্টারলিং। তিনি করেন ৯২ রান। এছাড়া এড জয়েস করেন ৮৪ রান। এছাড়া অপাজিত থেকে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নেইল ও’ ব্রায়েন। তিনি করেন ৭২ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩০৫ রানের বিশাল টার্গেট মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে, ৪ ওভার বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আটজন বোলার ব্যবহার করে।
এদিকে, ৩৯ ওভার ২ বলে টেইলরের বলে এড জয়েস আউট হন। এরপর ৪১ ওভার ৩ বলে টেইলরের দ্বিতীয় শিকার হন অ্যান্ড্র– বালবিরনি। তিনি করেন ০৯ রান।
ম্যাচের ২৭ ওভারের পঞ্চম বলে শতক বঞ্চিত হয়ে ব্যক্তিগত ৯২ রান করে মারলন স্যামুয়েলসের বলে প্যাভিলিওনে ফেরেন পল স্টারলিং। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটেতে দলকে শক্ত অবস্থান দিয়ে ১০৬ রানের পার্টারশিপ গড়েন পল স্টারলিং এবং এড জয়েস।
তার আগে, দলীয় ৭১ রানের মাথায় ম্যাচের ১৩ ওভার ৩ বলে গেইল আউট করেন ওপেনার উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডকে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন পোর্টারফিল্ড। তিনি করেছেন ২৩ রান।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩০৪ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়নদের। অষ্টম ওভারেই ৩১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। কেভিন ও ব্রায়েনের বলে জন মুনিকে ক্যাচ দেন ডোয়াইন স্মিথ। সেই ওভারেই শূন্য রানে ফিরে যান ড্যারেন ব্র্যাভো। রান আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলসের ৪৭ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দেখেশুনে খেলা এই দুই ব্যাটসম্যানকে তিন বলের মধ্যে ফিরিয়ে বড় একটা ধাক্কা দেন জর্জ ডকরেল। কেভিন ও ব্রায়েনের হাতে ধরা পড়েন গেইল। ৩৬ রান করতে ৬৫ বল খেলেন এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ৪১ বলে ২১ রান করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন স্যামুয়েলস। নিজের পরের ওভারে দিনেশ রামদিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপদ আরো বাড়ান বাঁহাতি স্পিনার ডকরেল।
৮৭ রানে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘুরে দাঁড়ায় স্যামি, সিমন্সের ব্যাটে। পাল্টা আক্রমণে ১৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে আড়াইশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান এই দুই জনে। স্যামির বিদায়ে ভাঙে ২১.১ ওভার স্থায়ী ষষ্ঠ উইকেট জুটি। মুনির বলে ডকরেলের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৮৯ রান করেন স্যামি। ওয়ানডেতে এটাই অলরাউন্ডারের সর্বোচ্চ। তার ৬৭ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা সমৃদ্ধ।
স্যামির বিদায়ের পর আন্দ্রে রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে দলের সংগ্রহ তিনশ পার করেন সিমন্স। সিমন্স-রাসেল মাত্র ৩১ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তিন অঙ্কে পৌঁছান সিমন্স। ৮৪ বলে খেলা তার ১২৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি গড়া ৯টি চার ও ৫টি ছক্কায়। শেষ পর্যন্ত ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল। তার ১৩ বলের ইনিংসটি সাজানো ৩টি চার ও ১টি ছক্কায়। ৫০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সেরা বোলার ডকরেল।