রাজধানীতে শিশু-কিশোরদের খেলার জায়গা নেই বললেই চলে। দু’একটি থাকলেও তা দখলে রেখেছে প্রভাবশালীরা। এরই একটি শ্যামলী রিং রোডের ক্লাব মাঠ। যেখানে খেলাধুলার জন্য বরাদ্দকৃত জায়গার প্রায় ২০ কাঠা জমিতে গড়ে উঠেছে কাঁচা বাজার। অভিযোগ আছে, বড় দুটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের পকেটেই যাচ্ছে বাজার থেকে আয়ের একটি বড় অংশ।
রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা শ্যামলীতে কিশোর ও তরুণদের জন্য খেলার মাঠ নেই বললেই চলে। তার মধ্যে রিং রোডে শ্যামলী ক্লাবের অধীনে একটি মাঠ থাকলেও তা দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্র ছায়ায়। মাঠের প্রায় ২০ কাঠা জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছে কাঁচাবাজার।
দখল প্রসঙ্গে স্থানীয় এক অধিবাসী জানান, ‘বর্তমানে মাঠের যে টুকু অংশ আছে তার বাইরেও মাঠের জায়গা ছিলও। মাঠের অনেক জায়গায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ডালভাত কর্মসূচীর নামে বাজার হয়। যে বাজার এখন পর্যন্ত আছে।’
মাঠের ঠিক পাশেই ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গড়ে তোলা হয়েছিল বিডিআর বাজার। তবে নির্দিষ্ট সময় পরে তারা কাঁচাবাজার ছেড়ে দিলেও তা দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। অভিযোগ রয়েছে কাঁচাবাজারের ১৫৭টি দোকান দিয়ে প্রতিদিন ভাড়া আদায় করছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। তাই এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ সাধারণ দোকানিরা।
ভাড়া প্রসঙ্গে বাজারের এক দোকানদার বলেন, ‘কমিটিতে যারা আছে তারা খরচাপাতির জন্য কিছু নেয়, ওটাতো ভাড়ার মধ্যে পড়ে না।’
বড় দুটি দলের রাজনৈতিক নেতারা এক হয়েই বাজার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ক্লাব কর্তৃপক্ষের।
এ প্রসঙ্গে শ্যামলী ক্লাব মাঠের যুগ্ম সম্পাদক মো. জামিল সিদ্দীকি বলেন, ‘বাজার কমিটিতে সভাপতি হিসেবে জুয়েল, সেক্রেটারি হিসেবে সোলায়মান, ভাইস সেক্রেটারি হিসেবে রুস্তম আছে। তারাই এ বাজারটি চালাচ্ছে।’
তবে এসব অভিযোগের সাথে নিজে জড়িত নয় বলে জানালেন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিজান। অন্যদিকে এ বারবার যোগাযোগ করে এ বিষয়ে বাজার কমিটির প্রধানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
somoynews.tv