আবারো ব্যর্থতার বৃত্তে ব্যাটসম্যানরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা আহামরি কোনো বোলিং না করলেও সহজেই উইকেট পেয়েছে। বোলারদের জন্যে কাজটা সহজ করে দিয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ৪৮৪ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ১৮২ রানেই শেষ টাইগারদের ইনিংস। ফলোঅনের শঙ্কায় থাকা মুশফিকের দল ঠিকই ফলোঅনে পড়েছে। ৩৮২ রানে পিছিয়ে রয়েছে সফরকারীরা।
ব্যাটিং ব্যর্থতা শুরু হয় তামিমকে দিয়ে। অভাগা তামিম স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ করতেই অহেতুক শট খেলে সাজঘরে ফিরেন। দলীয় ১৮ রানে তামিমের পথ ধরেন ইমরুল কায়েস (৯)।
তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুমিনুল হক ও শামসুর রহমান। ৬২ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর দলীয় ৮০ রানে সুলায়মান বেনের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন শামসুর রহমান। ৯৫ বলে ৫টি বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করেন ডানাহাতি এই ওপেনার।
শামসুর ফিরে গেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ভালোভাবেই সামলে নিচ্ছিলেন মুমিনুল হক। ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ইনিংসটিকে বড় করতে পারেননি তিনি। ৫১ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ১১২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫১ রানের ইনিংসটি সাজানো কক্সবাজারের এই তারকা।
মুমিনুলের বিদায়ের পর দ্রুত সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও নাসির হোসেন। ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭ রান। আর নাসির করেন ২ রান।
সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক মুশফিক অভিষিক্ত শুভাগতকে সঙ্গে নিয়ে ২৯ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু দলীয় ১৪৭ রানে বেনের ফুলটস বলে ফিরতি ক্যাচ উঠিয়ে দেন শুভাগত। ১৬ রান করেন তিনি।
এরপর লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে যুদ্ধ করেন মুশফিক। একে একে তাইজুল, রুবেল ও আল-আমিন সাজঘরে ফিরে গেলেও মুশফিক ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৮ রান করেন টাইগার দলপতি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার সুলায়মান বেন। ৩৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া ব্লাকউড ২টি এবং ১টি করে উইকেট নেন টেইলর, রোচ ও গাবরিয়েল।
এর আগে ৪০৭ রান নিয়ে সেন্ট ভিনসেন্টে তৃতীয় দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোববার ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত উইকেট হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৮৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডাবল সেঞ্চুরিয়ান ব্রেথওয়েটের ইনিংস থামে ২১২ রানে। তাকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ২২৬ বলে ৮৫ রান নিয়ে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন চন্দরপল। অপর প্রান্তে অপরাজিত ব্যাটসম্যান কেমার রোচ। তিনি ৪ বলে ২ রান করতে সক্ষম হন। অভিষেক ম্যাচেই ৫ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শুভাগত হোম ও রুবেল হোসেন।