ক্রমবর্ধমান পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন ও প্রচারণার কারণে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার ব্যাপারে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে পাকিস্তান। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) এ খবর জানায়।
এক সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই জানায়, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে এবং জানুয়ারিতে আইসিসি কী সিদ্ধান্ত নেয় তার জন্য অপেক্ষা করছে। সূত্রটি জানায়, পাকিস্তান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
একইসঙ্গে পিসিবি আশা করছে মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টটি অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিসিবি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটি বলেন, ‘যদি আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ স্থগিত করে তাহলে পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টগুলোতে অবশ্যই অংশ নেবে।’
তিনি আরো জানান, এই দুই টুর্নামেন্টই বহুজাতিক টুর্নামেন্ট, এ কারণেই আইসিসি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) বাংলাদেশে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয় সেটা জানার অপেক্ষায় পিসিবি। দেশটির সামগ্রিক পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে মোড় নিলে পাকিস্তানের টুর্নামেন্টগুলো থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার অধিকার আছে। এক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকারের নির্দেশ মেনেই পরবর্তী করনীয় ঠিক করবে পিসিবি।
১৯৭১ সালের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়ার পরই পাকিস্তান পার্লামেন্টে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস করে। এরপরই সামগ্রিক পরিস্থিতি পাকিস্তানের বিপক্ষে চলে যায়। বাংলাদেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন চরমে ওঠে এবং আন্দোলনকারীরা পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
পিসিবির সঙ্গে বিসিবির সম্পর্ক অনেকটাই শীতল হয়ে পড়ে দুই বছর আগেই। পাকিস্তানে একটি সংক্ষিপ্ত সফর করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সম্মত হলেও একেবারেই শেষ মুহূর্তে সেই সফর বাতিল করে দেয়। তখন থেকেই পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারগুলোতে পরস্পরকে এড়িয়ে চলছে এই দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
অবশ্য আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নিয়ে সৃষ্ট শঙ্কায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আইসিসিকে আশ্বস্ত করেছে যে, আগামী জানুয়ারির পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন আর টুর্নামেন্ট নিয়ে কোন ধরণের শঙ্কা থাকবে না।
এম এস