ম্যাচ শেষে যখন তামিম ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় রমিজই ছিলেন মঞ্চে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে রমিজ তামিমের কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘আমি তো তোমার ভাষা জানি না, ইংরেজি কি চলবে ? নাকি… ?’ রমিজ কথা শেষ করেননি। তবে ‘নাকি’র যেভাবে থেমেছিলেন, বোঝাই যায়, খুব সম্ভবত তামিম উর্দুতে বলবেন কি না, সেটিই জানতে চান। তামিম বুঝিয়ে দেন, ইংরেজিতেই তিনি বলবেন। এরপর ইংরেজিতেই কথা হয় দুজনের।
আগের দিন ম্যাচের মাঝখানেও তামিম কথা বলেছেন। সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে উপস্থাপিকাকে নাতিদীর্ঘ একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেটি রমিজের না দেখার কথা নয়। তিনি তখন ছিলেন ধারাভাষ্য কক্ষে। তামিমের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে তবুও যদি সন্দেহ থেকে থাকে, রমিজ হয়তো লজ্জাই পেয়েছেন, পুরস্কার বিতরণীতে তামিম দুর্দান্ত ইংরেজি বলে সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ায়।করাচি কিংসের প্রথম ম্যাচেও রমিজ একটা ‘ভুল’ করেছিলেন। ওই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন সাকিব, কিন্তু রমিজ সাকিবের জায়গায় ডেকে বসেন লেন্ডল সিমন্সকে। সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য ‘ভুলটা’ শুধরে নিয়ে ডেকেছিলেন সাকিবকে। কিন্তু এরকম ‘ভুল’ রমিজ আর কত করবেন?
রমিজের এমন জিজ্ঞাসা বিস্ময়কর বললেও কম বলা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমকে কম দিন ধরে দেখেননি। নিজেও অনেক দিন ধরেই জড়িয়ে আছেন ধারাভাষ্যের সঙ্গে। তামিম ইংরেজিতে কথা বলে কি না সেটা তাঁর না জানার কোনো কারণ নেই। প্রায় আট বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা তামিম নিজেও প্রথমবার পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এলেন না। সেটি রমিজ ভুলে গিয়ে থাকলেও কালকের ম্যাচের মাঝখানে তামিমের সেই ছোট্ট সাক্ষাৎকারটি কি দেখেননি?
সবচেয়ে বড় কথা, প্রথম ম্যাচে ৫১ রান করার পরেই তো তামিম রমিজের সঙ্গেই কথা বলেছিলেন। তখন ভাষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি রমিজ। তাহলে কাল এমন জিজ্ঞাসা কেন?