ঢাকা: তিনি আর এখন নিষিদ্ধ নন। ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত সেপ্টেম্বরেই শেষ হয়ে গিয়েছে। নিজ দেশের ঘরোয়া লিগে খেলা শুরু করেছেন গত জানুয়ারি থেকে। পাকিস্তানের সম্ভাবনাময়ী পেসার মোহাম্মদ আমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দিয়ে নয়, সম্ভবত ঘরোয়া কোন ক্রিকেট দিয়েই পা রাখতে যাচ্ছেন দেশের বাইরে। আর সেই টুর্নামেন্টটা হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)।
বিপিএলের তৃতীয় আসরের জন্য বিদেশী ক্রিকেটার তালিকাভুক্ত করার কাজ করছে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ইতিমধ্যে ৩৫জন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের তালিকাও তৈরী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ৩৫জন ক্রিকেটারের মধ্যে রয়েছেন সদ্য নিষেধাজ্ঞামুক্ত পেসার মোহাম্মদ আমেরও।
বিসিবির পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তবে, অসমর্থিত বিভিন্ন সূত্রে ইতিমধ্যে মোহাম্মদ আমেরের বিপিএলে খেলার খবরটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নিউজপোর্টাল এপিনিক এই খবরটা প্রকাশ করে। বিসিবির সূত্রে খবরটা প্রকাশ করেছে লন্ডনের দি নিউজ ট্রাইবও। আবার ক্রিকেট সম্পর্কিত বাংলাদেশের একটি পোর্টালও এই খবর প্রকাশ করেছে। বিডি ক্রিকেটডটকম নামে এই পোর্টালটির কাছে মোহাম্ম আমিরের নাম তালিকায় রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিসিবি পরিচালক ও টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য খালেদ মাহমুদ সুজন।
বিডি ক্রিকেটডটকমকে এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘পাকিস্তানের বেশকিছু খেলোয়াড়ের নাম আমরা তালিকাভূক্ত করেছি। তার মধ্যে আমেরের নামও রয়েছে। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক আগে থেকেই সে খেলে আসছে। তারওপর, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট খেলতে তার উপর যেহেতু আইসিসির আর কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা নেই, তাই আমরা তাকেও রেখেছি তালিকায়। বিপিএলে খেলতে তো তার কোনো সমস্যা নেই।’
তবে, বিপিএলে খেলতে হলেও আইসিসির অনুমতি নিতে হবে আমেরকে। এ বিষয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, যে ফ্রাঞ্চাইজি আমেরকে নিতে চাইবে, তারাই আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আসবে। বিপিএল তৃতীয় আসরের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজি ৭জন করে বিদেশী ক্রিকেটার রাখতে পারবে দলে। বাকিরা সব হবেন স্থানীয় ক্রিকেটার। ২১ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বিপিএলের তৃতীয় আসর।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকায় পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন পেসার মোহাম্মদ আমির। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ হন পেসার মোহাম্মদ আসিফ এবং ব্যাটসম্যান সালমান বাট। বিপিএলের তালিকায় আমিরের নাম থাকলেও বাকি দু’জনকে বিবেচনায় আনেনি বিপিএল কর্তৃপক্ষ। যদিও তারা দু’জনও এখন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত।