গত বুধবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ওই শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ভারতের ক্রিকেট সুপারস্টার বিরাট কোহলি ‘ফেক ফিল্ডিং’ করে বিতর্কের জন্ম দেন।
খেলাটি যেহেতু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই দেশটির প্রায় সবগুলো প্রধান গণমাধ্যম প্রায় প্রতিদিনই তাদের শিরোনামে রাখছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
গতকাল এবং আজকের শিরোনাম ছিল বিরাট কোহলির ‘ফেক ফিল্ডিং’। অধিকাংশ গণমাধ্যমই এটার নিন্দা জানিয়েছে। কোনো কোনো মিডিয়া এটিকে অভিহিত করেছে ‘প্রতারণা’ হিসেবে।
ফক্স নিউজ, সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, নিউজ ডট কম, সেভেন নিউজ, নাইন স্পোর্টস, দ্য এজসহ অন্যান্য মিডিয়া প্রশ্ন তুলেছে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতারণামূলক জয়ে ‘ফেক ফিল্ডিং’ এর জন্য বিরাট কোহলির কি শাস্তি হওয়া উচিত ছিল না ? সবগুলো মিডিয়াতেই কোহলির ভুয়া বল নিক্ষেপের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এমন একটি প্রতারণা আম্পায়ারদের নজর এড়িয়ে গেল কীভাবে?
বিরাট কোহলির ‘ফেক ফিল্ডিংয়ের’ বিষয়ে সেভেন নিউজের প্রতিবেদন। ছবি: সেভেন নিউজডটকমের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত
সেভেন স্পোর্টস হেডলাইন করেছে, আম্পায়ারদের নজরে পড়েনি বিরাট কোহলি ‘প্রতারণা।’ সেভেন স্পোর্টস লিখেছে, আইনে ভারতের জন্য ৫ রানের জরিমানা হওয়া উচিত ছিল। যা ছিল তাদের সঠিক জয়ের ব্যবধান।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড হেডলাইনে লিখেছে, ‘ভুয়া ফিল্ডিংয়ের’ অভিযোগে অভিযুক্ত কোহলি।
নাইন স্পোর্টস ব্যানার হেডলাইন করেছে, বাংলাদেশ বিরাট কোহলিকে ‘অন্যায়’ পদক্ষেপে ‘ভুয়া ফিল্ডিংয়ের’ অভিযোগ করেছে এবং যা প্রমাণিত হয়েছিল।
নাইন স্পোর্টস ব্যানার হেডলাইন করেছে, বাংলাদেশ বিরাট কোহলিকে ‘অন্যায়’ পদক্ষেপে ‘ভুয়া ফিল্ডিংয়ের’ অভিযোগ করেছে এবং যা প্রমাণিত হয়েছিল। ছবি: নাইন স্পোর্টসের ওয়েবসাইট থেকে
ইনিংসের সপ্তম ওভারের সময় বাংলাদেশি ব্যাটার লিটন দাস অক্ষর প্যাটেলের বলকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ছুঁড়ে দেন। আরশদীপ সিং বলটি স্ট্রাইকারের প্রান্তে ফিরিয়ে দেন।
কোহলি-যে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিল তার পাশ দিয়ে বলটি চলে গেলেও তিনি তা স্ট্রাইকারের প্রান্তে থ্রো করার ভান করেছিলেন।
আইসিসি আইন ৪১.৫ এর অধীনে বলা হয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি, ব্যাটসম্যানের প্রতারণা বা বাধা’ দেয়া আইন লঙ্ঘন। সে হিসেবে কোহলিকে ৫ রানের শাস্তি দেওয়া উচিত ছিল। যা ছিল বাংলাদেশের জন্য পরাজয়ের ব্যবধান।