ঢাকা: আগেই রণ হুঙ্কার ছেড়েছিলেন উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।
আইরিশ দলপতি জানিয়েছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় দিয়েই মহাযজ্ঞ শুরু করতে চান। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আয়ারল্যান্ডের জয়কে কি অঘটন বলবেন? তাছাড়া স্যাক্সটন পার্কে মাঠের পারফরম্যান্সেও শ্রেয়তর দলের নাম আয়ারল্যান্ড। সেই হিসেবে নেলসনে আইসিসির সহযোগী দেশ আয়ারল্যান্ডের কাছে ক্রিস গেইলদের হার কোনো অঘটন নয়। অনেক ক্রীড়ামোদী তেমনটি বলবেন। কিন্তু শেষ বিচারে নাম ও ভার বিচারে আইরিশদের কাছে উইন্ডিজের ৪ উইকেটের পরাজয় বড় একটা অঘটনই। ক্যারিবিয়ানদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়েও।
শ্রীলঙ্কার কাছে ভারতের হার, ইংল্যান্ড (১৯৭৯):
তখনো টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করেনি শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তারাই কিনা বিশ্বকাপ খেলতে এসে ভারতকে চমকে দিল। সেবার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৬০ ওভারের খেলায় লঙ্কানরা সংগ্রহ করে পাঁচ উইকেটে ২৩৮ রান। এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯১ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত।
জিম্বাবুয়ের কাছে অস্ট্রেলিয়ার হার, ইংল্যান্ড (১৯৮৩):
নিজেদের প্রথম ওডিআই ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলতে নেমেই অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। ভারতের বর্তমান কোচ ডানকান ফ্লেচারের উড়ন্ত পারফরম্যান্সে অ্যালান বোর্ডার, রডনি মার্শ ও ডেনিস লিলির অস্ট্রেলিয়াকে ১৩ রানে হারায় জিম্বাবুয়ানরা।
জিম্বাবুয়ের কাছে ইংল্যান্ডের হার, অস্ট্রেলিয়া (১৯৯২):
তখনো আইসিসির সহযোগী দেশ জিম্বাবুয়ে। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলতে এসে তারা আবার দৈত্য-বধ করে। অ্যালবুরির লো স্কোরিং ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৯ রানে হারায় আফ্রিকার দেশটি। জিম্বাবুয়ের ১৩৪ রান তাড়া করতে নেমে ১২৫ রানে থামে ইংলিশরা।
কেনিয়ার কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার, ভারত (১৯৯৬):
কেউ যা কল্পনাতেও আঁকেনি উপমহাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে তাই ঘটিয়েছে কেনিয়া। প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৬৬ রান তোলে তারা। এর জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রায়ান লারা, রিচি রিচার্ডসন, শিবনারায়ণ চন্দরপলদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ৯৩ রানেই গুটিয়ে যায়। ৭৩ রানের বড় জয় পায় মরিচ ওদুম্বেরা।
বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের হার, ইংল্যান্ড (১৯৯৯):
নর্থদাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৬২ রানের জয় ক্রিকেট মানচিত্রকে ওলটপালট করে দেয়। আর বাংলাদেশের জন্য টেস্ট ক্রিকেটের দরজা খুলে দেয়। সেবার প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৩ রান সংগ্রহ করে। এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ ওভারে ১৬১ রানেই গুটিয়ে যায় ক্রিকেটের অঅনুমেয় শক্তিরা।
এরপর বিশ্বকাপে আরো যা অঘটন ঘটেছে-
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে কেনিয়ার কাছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের হার। ২০০৭ সালে আয়ারল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হার। ২০১১ সালে আয়াল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ডের হার। আর সর্বশেষ ২০১৫ সালে এসে জায়ান্ট কিলার আইরিশদের হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতন।